প্রসঙ্গ: মেড ইন বাংলাদেশ

আসমা আহমেদ:
অতি সম্প্রতি গভীর আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের তরুন পরিচালক রুবাঈয়াত হোসেনে নির্মিত “মেইড ইন বাংলাদেশ” ছায়াছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। ছবিটি দেখে শুধু আশ্চর্যই নয়, ব্যথিত হয়েছি। ব্যথিত হয়েছি এই ভেবে যে, বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তর আয়ের উৎস গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিকে একেবারে ২০১০ এ যে অবস্থায় ছিল তার চাইতেও খারাপ অবস্থায় দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়; গার্মেন্টস কর্মীদের কল্পিত এক মানবেতর জীবন-যাপন তুলে ধরা হয়েছে পুরো ছবিটিতে।

নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসাবে কয়েকজন নারীকে নিয়ে রদ্দি মার্কা কোনো এক পরিত্যাক্ত কারখানায় কিছু মেশিন বসিয়ে সেটাকে গারমেন্টস কারখানা হিসাবে দেখানোর চেস্টা করা হয়েছে। এটা কেবল হাস্যকরই নয় কানাডার বাজারে বাংলাদেশকে চরম হেয় করারই এক দুরভিসন্ধি বলে মনে করছি। ছবিটির স্ক্রিনিং হবার পর দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে পরিচালক রুবাইয়াত মিনমিন করে কোনোভাবে যা বলেছেন যার বেশীর ভাগ তথ্য সঠিক ছিল না।

ছবিটা দেখে আমি যেটুকু বুঝলাম- তা হচ্ছে, পরিচালকের মুল উদ্দেশ্য সম্ভবত এই প্রেস্টিজিয়াস প্রদর্শনীতে ঢুকে আন্তর্জাতিক ফিল্ম ইন্ডাস্টির একজন বলে দাবী করা। দেশের সুনাম বা দেশের অর্থনীতির কথা তার মাথায় একেবারে ঢুকেনি।

রানা প্লাজার ধ্বসের পর বাংংলাদেশের গারমেন্ট ইন্ডাস্টি যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল- “মেইড ইন বাংলাদেশ” ছায়াছবিটি বাংলাদেশকে আবার প্রশ্নের মুখে ছুঁড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের বোদ্ধা দর্শকরা ছবিটা কিভাবে নেবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।

আরও সংবাদ