প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালন করেছে যুক্তরাজ্য যুবলীগ

যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালন করেছে যুক্তরাজ্য যুবলীগ। গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্ট হামের ইমপ্রেসন ইভেন্ট ভ্যানুতে আলোচনা সভা ও কেক কেটে এ জন্মদিন পালন করা হয় ।

যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম মধু সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ,তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালন করেছে যুক্তরাজ্য যুবলীগ দেখে আমি মুগ্ধ আমি অনুপ্রাণিত। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনটি এমন সময়ে পালিত হচ্ছে যখন তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।

শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয় বারের মত এবং ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল বলে জানান।

তিনি প্রধান মন্ত্রীর উত্তরোত্তর সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে যুক্তরাজ্য যুবলীগ কে একটি সুন্দর অনুষ্টান করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের  সহসভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ,অধ্যাপক আব্দুল হাশেম,হরমুজ আলী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,নইমুদ্দিন রিয়াজ,মারুফ আহমদ চৌধুরী,আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব,শিল্প বাণিজ্য ও বাণিজ্য সম্পাদক, আ স ম মিছবাহ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক,এম সারব আলী,সমাজ সেবা সম্পাদক,আনছারুল হক,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক,কাউছার চৌধুরী,সহ প্রচার সম্পাদক লুৎফুর রহমান সায়েদ,লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগ সহসভাপতি এহসান আহমদ ,প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করে বিশেষ এক দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে জন্মদিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা।অনুষ্টানে মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা কুতুব উদ্দিন ।

আরও সংবাদ