পৃথিবীর বৃহত্তম জেলখানায় পরিণত হয়েছে কাশ্মীর : অধ্যাপক ইমানুল হক

পৃথিবীর বৃহত্তম জেলখানায় পরিণত হয়েছে কাশ্মীর
জম্মু কাশ্মীরের মানুষদের ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলছে। পৃথিবীর বৃহত্তম জেলখানায় পরিণত হয়েছে কাশ্মীর।’ শনিবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভায় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ইমানুল হক।
তিনি জানান ‘কাশ্মীর ৭৫ দিন অবরুদ্ধ।
যেখানে নাগরিক স্বাধীনতা নেই, প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলা, খবরের কাগজ পড়ার স্বাধীনতা নেই – সেটা জেলখানা ছাড়া আর কি? তাই পদত্যাগী আইএএস অফিসার কান্নন গোপীনাথনের ডাকে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’

 

ইমানুল হক এদিন অভিযোগের সুরে বলেন, ‘৮০ লক্ষ মানুষের কাছে ১০ লক্ষ সেনা নামানো হয়েছে। সিআরপিএফ জওয়ানদের রেশন বন্ধ, পেনশন বন্ধ, কেবল মুখে জওয়ানদের প্রতি দরদ। পুলওয়ামা কাণ্ডে ৪২ জন জওয়ানের মৃত্যুর তদন্ত পর্যন্ত করেনি কেন্দ্রের মোদি সরকার। তিনজন সেনা কাশ্মীরে জনগণের প্রতি অত্যাচার করতে চান না বলে পদত্যাগ করেছেন।’ সেইসাথে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাহলে কাশ্মীরে কি পরিমান অত্যাচার হচ্ছে যে সেনাবাহিনীর লোকেরা পদত্যাগ করছে, যে আমরা এই অত্যাচারের শামিল হতে চাই না।’

 

প্রতিবাদ সভায় সমাজকর্মী সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর রেশনিং বন্ধের প্রতিবাদ করে জানান, ‘আর্থিক সংকটের জেরে দেশের সেনাবাহিনীর রেশন পাবে না, তা হতে পারে না। তাদেরও পরিবার আছে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সরকারের দেখা উচিত।’

 

স্বরাজ অভিযানের সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল এদিন জানান, ‘আমরা কাশ্মীরে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ চাই।‌ আলোচনা চাই। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক ভাবে মেটাতে হবে। অস্ত্র কোন সমাধান নয়। কাশ্মীরের শিশুরা বিদ্যালয় যেতে পারছে না। খেলতে পারছে না। তরুণ তরুণীরা আটক। সামরিক শাসন চলছে গণতন্ত্রের নামে। এর অবসান জরুরি।’
আরও সংবাদ