চলে গেলেন হুমায়ূন সাধু

হুমায়ূন সাধু আর নেই

কাজের সংখ্যা অনেক কম। হাতে গোনা দু’চারটি। অথচ অভিনয়ে-নির্মাণে, তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সবার কাছে। তবে সেটি সম্ভবত সম্ভব হয়েছে তার অসাধারণ সততা আর সরলতার সূত্র ধরে।

সেই হুমায়ূন সাধু আর বেঁচে নেই। টানা কয়েকদিন ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানে তাকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। তারও আগে  ঢাকা-চট্টগ্রামের আরও ক’টি হাসপাতালে ঘুরেছেন সাধু। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (২৫ অক্টোবর) সাড়ে বারোটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন নাট্যপরিচালক আশফাক নিপুণ ও আকরাম খান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সাধুর স্ট্রোক হওয়ার পর তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আবারও স্ট্রোক হওয়ায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।

 

আশফাক নিপুণ জানান, ‌আজ (২৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর তেজগাঁও রহিম মেটাল জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আসরের নামাজের পর সেই মসজিদের পাশের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
হুমায়ুন সাধুর জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। ২০০১ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। ভবঘুরে জীবনযাপন করেন কিছুদিন। অতঃপর পরিচয় ঘটে নির্মাতা মোস্তাফা সরোয়ার ফারুকীর সঙ্গে। সেই থেকে ফারুকীর সহকারী পরিচালক ও ভাই-বেরাদর হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পাশপাশি করেন অভিনয়ও। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘উন-মানুষ’। হুমায়ুন সাধু নিজেও নাটক পরিচালনা করেন। যার মধ্যে অন্যতম ‘চিকন পিনের চার্জার’। চলতি বছরে হিমু আকরামের পরিচালনায় বেশ ক’টি নাটকে অভিনয় করেন সাধু। যার মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় ‘জলিলের আদমশুমারি’।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাধু। এরপর অভিনয় করেছেন মাহমুদ দিদারের মুক্তিপ্রতিক্ষীত ‘বিউটি সার্কাস’-এ।
২০১৯ সালের একুশে বই মেলায় সাধুর ‘ননাই’ নামের একটি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়।
নয় ভাই-বোনের মধ্যে সাধু ছিলেন সপ্তম।

আরও সংবাদ