রাজশাহীতে রেলের টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ নেতা খুন

রাজশাহীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সৈনিক লীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন রাসেল (২৮) মারাত্মক আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

একই ঘটনায় রাসেলের ভাই আনোয়ার হোসেন রাজাসহ দুই গ্রুপের পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় যুবলীগ কর্মী রাব্বিকে আটক করেছে পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, পূর্ববিরোধের জেরে দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজা এবং রাজশাহী মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের সদর দফতরের রাস্তার ধারে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে সুজন সমর্থকরা রাজা, রাসেল ও সোনা নামের আওয়ামী লীগ কর্মীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।

সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল সন্ধ্যায় মারা যান। এ ঘটনায় সুজন গ্রুপের দুই সদস্যও আহত হন।

রেলভবন ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ভাঙারি দোকানের সামনে থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে। নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা জানান, সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠায়।

সন্ধ্যায় রাসেল মারা যান। আর সংঘর্ষের পর রাব্বি নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগ নেতা রাসেল নগরীর বাস্তুহারা এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম আবুল কাশেম। তাই ভাই রাজার অবস্থাও সংকটাপন্ন।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে। স্থানীয়রা জানায়, রেল ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রাজা এবং সৈনিক লীগ নেতা সুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। বছরখানেক আগে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়।

আরও সংবাদ