বালাগঞ্জের কাবাডির বিষফোঁড়া‘হাইয়ুম



বালাগঞ্জ ইউনিয়নের সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক ঘেঁষা রহমতপুরের উত্তরের মাঠে রহমতপুর-গহরমলী কাবাডি টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনাল ২৯ নভেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। সেমি ফাইনালে আজিজপুর কাবাডি দলকে ৬পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়ান বাজার ক্রীড়া সংস্থা (হায়দরপুর কাবাডি দল) ফাইনালে উন্নিত হয়। পড়ন্ত বিকেলে খেলা উপভোগ করতে মাঠে কয়েক হাজার কাবাডি প্রিয় দর্শকদের সমাগম ঘটে। দর্শকরা উভয় দলের খেলোয়াড়দের ক্রীড়া নৈপুণ্যে মুগ্ধ হন। তবে আজিজপুর কাবাডি দলের (পরাজিত দল) নেতৃত্বে থাকা নৌবাহিনী কাবাডি দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড় আব্দুল হাইয়ুমের মারমুখী আচরণে আয়োজক কমিটি ও দর্শকরা বিব্রত হন। খেলার শেষাংশে হাইয়ুমের দল যখন পরাজিত হতে চলেছে তখন সে অতি উৎসাহী আচরণ, খেলার নিয়ম বহির্ভুত আবদার, ম্যাচ রেফারীদের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা, আয়োজক কমিটি ও ম্যাচ রেফারীকে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন মন্তব্য করে মাঠে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করে। নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হওয়ার পর হাইয়ুমের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজক কমিটি তার ওপর চড়াও হলে সে দ্রুত সটকে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেমি ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ায় দেশ ও প্রবাসের দর্শকরা হাইয়ুমের অন্যায় আচরণ দেখে ধিক্ষার জানিয়ে নানা মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। হাইয়ুমকে বালাগঞ্জের কাবাডির বিষফোঁড়া বলেও একাধিক জন মন্তব্য করেছেন। সে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে বালাগঞ্জের কোনো টুর্নামেন্টে তাকে খেলার সুযোগ না দেয়ারও দাবি ওঠেছে। এদিকে হাইয়ুমের নৈতিক আচরণ পরিপন্থি কর্মকান্ডে উপজেলার কাবাডি প্রিয় দর্শকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কাবাডি সংগঠকরাও বিব্রতবোধ করছেন । বিষয়টি নিয়ে হাইয়ুমের এলাকায়ও তুমুল সমালোচনা চলছে। তার মারমুখী আচরণের কারণেই দল পরাজিত হয়েছে বলে তার দলের সমর্থকেরা মন্তব্য করেছেন। এজন্য তারা হাইয়ুমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
হাইয়ুম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে খেলার মাঠে উপস্থিত থাকা কয়েকজন দর্শক বলেন, শুনেছিলাম হাইয়ুম একজন ভাল খেলোয়াড় কিন্তু আজ সে যা করলো তাতে প্রমাণ হয়েছে- সে খেলোয়াড় নামের কলঙ্ক। তার দল পরাজিত হওয়ায় সে খেলার মাঠে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সেটা কোনো ভাল খেলোয়াড়ের আচরণ হতে পারেনা। সে তো বালাগঞ্জেরই ছেলে কিন্তু তার এই আচরণে বালাগঞ্জের কাবাডির দুর্নাম হয়েছে। খেলায় হার-জিৎ থাকবে তাই বলে অন্যায়ভাবে জোর জবরদস্তি করা সেটা তো খেলার নিয়ম লঙ্গনের শামিল।
আজিজপুর কাবাডি দলের একাধিক সমর্থকের মন্তব্য থেকে জানা গেছে, দল গঠনের জন্য ঢাকা থেকে খেলেয়াড় আনার জন্য হাইয়ুম এলাকার লোকজনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছে, দল পরাজিত হওয়ায় সেই টাকা হজম করতে সে এমন আচরণ করেছে।

আরও সংবাদ