ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হোক, তবে….


ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হোক তা সমর্থন করি। তবে এসব মামলায় চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর আস্থা না থাকায় এই আইন বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য মনে করি না। চলমান তদন্ত প্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের তীব্র বিরোধীতা করছি। কারণ এই দেশে বেশিরভাগ তদন্ত রিপোর্ট মিথ্যা দেয়া হয়। উদাহরণ স্বরুপঃ কিছুদিন আগেও পুলিশ এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জড়িত নিশ্চিত করে একটি ছেলের বিরোদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। পরে দেখা যায় ওই মেয়ে জীবিত এসে বলেছিল “আমি বেঁচে আছি। অন্য একজনের সাথে চলে গেছি।” নিরপরাধ ছেলেটা মাঝখান থেকে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্টের জন্য ১ বছর জেল খাটল। এমন মিথ্যা চার্জসীট দেয়ার হাজারো ঘটনা এদেশে ঘটে চলেছে। থামানো না গেলে অনেক নিরপরাধ পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। এই আইন করার আগে সেটাও ভাবা উচিত। মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা তদন্ত রিপোর্টের কারণে যারা এখন এই মৃত্যুদন্ডের আইনের জন্য দাবি করছেন তারাও বলির পাঁঠা হতে পারেন।

অপরদিকে ধর্ষণে মেয়েদের ক্ষেত্রেও অপরাধ বিবেচনায় শাস্তির দাবি করছি। শারিরিক চাহিদা মেটাতে অনেক সময় কিছু নারী সেচ্ছায় যৌনতায় লিপ্ত হয়। আবার অনেক সময় দুজনের সম্মতিতে ঘটে। পরে ধর্ষণের রূপ দিয়ে মামলা করে অনেক পরিবারকে ধ্বংস করে এমন দুশ্চরিত্র নারীরা। সেচ্ছায় যৌনতার ক্ষেত্রে হয় উভয়কেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত অথবা কারো বিরোদ্ধেই ব্যাবস্থা না নেয়ার বিধান রাখা যেতে পারে। আর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌনতার ক্ষেত্রেও আমি উভয়কেই দায়ী বলে মনে করি। আপনাকে একজন বিয়ের প্রলোভন দিবে আর আপনি তা মানবেন কেন? তার মানে আপনারও তলে তলে ইচ্ছা আছে। এক্ষেত্রেও দুজনকে শাস্তি দেয়া বা না দেয়ার আইন করা যেতে পারে। তবে জোর পূর্বক ধর্ষণ যে ছেলেরাই কেবল করে আর মেয়ারা ধোয়া তুলসিপাতা তা আমি মানতে নারাজ। অনেকক্ষেত্রে মেয়েদের প্রলোভনে এমন ঘটনা ঘটলেও ছেলেরা এটা কখনই প্রকাশ করে না। এক্ষেত্রে আইন না থাকায় ছেলেরা অভিযোগ করতে পারে না। ফলে একাই সুযোগের সদ্যবহার করে নারীরা। ছেলেদের ক্ষেত্রেও নারীদের বিরোদ্ধে অভিযোগ করার আইন হওয়া উচিত। না হলে তো এটা কখনই ন্যায় বিচার হলো না।

লেখকঃ নির্বাহী সম্পাদক
এশিয়াবিডি২৪ ডটকম

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ