আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম : আবরারের দাদা
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস নাতিকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছেন। ৮৭ বছর বয়সী এই মানুষ চোখে কম দেখেন এবং কানেও ভালোভাবে শুনতে পান না। তবে পরিচিতজনদের কাছে বারবার নাতির জন্য আহাজারি করছেন।
তিনি আর্তনাদ করে বলেন, আহারে! ওরা আমার নাতিকে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছে, খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আমার নাতির কি অপরাধ? সে নাকি বলেছিল পদ্মা নদী বর্ষাকালে শুকিয়ে যায়, আর বর্ষায় আমাদের পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এ কথা তো সকলে কয়। তার জন্য তাকে এভাবে মাইরে ফেলা হলো! ও আল্লাহ, আল্লাহরে তুমি এর বিচার করবা, তোমার কাছে বিচার দিলাম।
তিনি আরো বলেন, আমার নাতি নাকি শিবির করে? সে কোনো দল করে না। লেখাপড়া ছাড়া সে কিছু বুঝতো না।
এদিকে আবরার হত্যাকাণ্ডে এজাহারনামীয় আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তোহা আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি। তিনি বুয়েটের এমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র অমিত সাহাকে রাজধানীর সবুজবাগ কালিবাড়ী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে আবরারের রুমমেট মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের-১০১১ নম্বর রুম থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
অন্যদিকে আবরার ফাহাদকে হত্যার কথা স্বীকার করে ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার সকালের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।