৪র্থ দফায় সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়া থেকে ৪র্থ ধাপে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশাল ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে তুরস্ক অভিযোগ করছে যে, কুর্দি বাহিনীর হামলায় তাদের এক সেনা নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গত ৯ অক্টোবর সেখানে অভিযান শুরু করেছে তুর্কি বাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক। শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে আলোচনার পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানান।
সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে হটাতেই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায় তুর্কি বাহিনী।
তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে।
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল কুর্দি বাহিনী। কিন্তু কুর্দি বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে তুরস্ক।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টির বেশি সাঁজোয়া যানে করে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সে সময় হেলিকপ্টার দিয়ে ওই যানগুলোকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সেরিন সেনা ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেনা প্রত্যাহার করে নিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মার্কিন সেনাবিহীন হয়ে পড়েছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো এবং রাক্কা প্রদেশে।