বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোরালেসের জয়

আবারও বলিভিয়ার প্রেসিডন্ট হতে যাচ্ছেন ইভো মোরালেস। আর তার এই জয়কে কেন্দ্র করে দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।  একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত না হওয়া রবিবার ভোটগণনা বন্ধ করা হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় জয় পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট রয়েছে মোরালেসের।  তখন আবার ভোটগণনা শুরু হলে বিরোধী নেতা কার্লোস মেসা প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, এই ফলাফল মানেন না তিনি। এরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা শুরু হয়।

দেশটির নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতে জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ৮৪ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইভো নেতৃত্বাধীন মুভমেন্ট টুওয়ার্ডস সোশ্যালিজম (এমএএস) পেয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্যালোস মেসার দল পেয়েছে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। ৮৪ শতাংশ ভোট গণনার পর স্থগিত করা হয়েছে।

কিন্তু সোমবার আবার ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায় প্রেসিডেন্ট মোরালেস সরাসরি জয়ী হতে যাচ্ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কার্লোস মেসা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।

পর্যবেক্ষকরা এই আকস্মিক পরিবর্তনকে ‘ব্যাপক ও ব্যাখ্যা করা কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। ইলেক্টোরাল অবজারভেশন মিশন অব দ্য অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস জানায়, আামরা আশা করি চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটারদের রায়ই প্রতিফলিত হবে।

সোমবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রতিবাদকারীরা সুক্রে ও তারিহা আঞ্চলিক নির্বাচনী দফতরে আগুন দেয়। রাজধানী লা লাপাজেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

 

রবিবার (২০ অক্টোরব) বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ৩৬ জন সিনেটর এবং চেম্বার অব ডেপুটিজের ১৩০ জনকে নির্বাচিত করতে ভোট দেন ভোটাররা। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় থাকতে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। এর আগে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে জনমত জরিপেও বেশ এগিয়ে তিনি। এর আগের নির্বাচনগুলোতে তিনি প্রথম দফাতেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০০৬ সালে বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মোরালেস। সেই থেকে বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার চলতি তৃতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০২০। ৬৫ শতাংশ আদিবাসীর দেশ বলিভিয়ায় তিনিই প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। পরপর তিনটি নির্বাচনে তার প্রতি আস্থা রেখেছে বলিভিয়ার জনগণ। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী তিনবারের বেশি রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার বিধান না থাকায় গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন মোরালেস। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগে সম্প্রতি মোরালেসের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।

আরও সংবাদ