পেঁয়াজের দাম কমতে এক মাস লাগবে-বাণিজ্যমন্ত্রী

পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এ সমস্যা আরও এক মাস থাকতে পারে। তবে মিসরের পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে কমে আসবে দাম।
রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মজুদ করছে, আমরা শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমস্যাটা হলো, হঠাৎ করে চাপ দিলে তারা বেঁকে বসলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। এদিকে কিছু চাপের কারণে অনেক পেঁয়াজ পচেও গেছে। তাদের নিয়ে যে জেলখানায় ভরব, এমন কিন্তু নয়। তাদের প্রো-অ্যাক্টিভ করতে চাই, বোঝাতে চাই। এতে কিছু কাজও হয়েছে।
উৎপাদন কম হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দিলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে বেড়ে ১০০ টাকা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি এবং আড়তগুলোতে অভিযানের পর দাম কিছুটা কমলেও গত কয়েক দিনে দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে আমাদের এবার শিক্ষা হয়েছে। এটা নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যাতে বাইরের ওপর নির্ভর করতে না হয়। আশা করছি, পরবর্তী বছরে এ সমস্যাটা আর হবে না।
তিনি জানান, সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টনের মতো। দেশে উৎপাদনের পর ১০ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে। চট্টগ্রামে টিসিবির উদ্যোগে ১০টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও সংবাদ