দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের আয়োজক তারা। আয়োজকের মর্যাদা ধরে রেখেই ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সোমবার প্রাণবন্ত প্রথম সেমিফাইনালে দু-দুবার পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা। ভারতের গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।

 

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়ের নায়ক আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের। অন্য গোলটি করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ।

 

মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মোহনবাগান খেলবে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির বিপক্ষে। ফাইনাল হবে বৃহস্পতিবার।

 

২০১৫ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও দুই বছর আগে দ্বিতীয় আসরে সেমিফাইনালে হার মেনেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। এবার শুরু থেকে শিরোপা পুনরুদ্ধারের সংকল্প নিয়ে মাঠে নেমে ট্রফির হাতছোঁয়া দূরত্বে তারা।

 

গোকুলামের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক চলে যায় প্রতিপক্ষ গোলকিপারের গ্রিপে। ষষ্ঠ মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ম্যাথিউর কাট ব্যাক থেকে আরিফুরের দুর্বল প্লেসিং শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান এক ডিফেন্ডার।

 

১৫ মিনিটে রোতকোভিচ লুকার শট ক্লিয়ার করেন গোকুলামের এক ডিফেন্ডার। ছয় মিনিট পর ইয়াছিন আরাফাতের ক্রস থেকে লুকার দুর্বল শট ধরে ফেলেন গোলকিপার। ২৩ মিনিটে দিদিয়ের বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়লেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি।

 

২৮ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল খেয়ে বসে চট্টগ্রাম আবাহনী। গোকুলামের পক্ষে গোল করেন হেনরি কিসেক্কা। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঢেউ তুললেও বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি মারুফুল হকের শিষ্যরা।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চলে আসে সমতা। ৪৬ মিনিটে আরিফুরের পাস থেকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন দিদিয়ের। এরপর গোলকিপারের সৌজন্যে দুবার বেঁচে যাওয়া গোকুলাম ৮০ মিনিটে এগিয়ে যায় আবার। দুরূহ কোণ থেকে গোলকিপার মোহাম্মদ নেহালকে পরাস্ত করেন মার্কোস জোসেফ।

 

৮৯ মিনিটে আবার সমতা নিয়ে আসে চট্টগ্রাম আবাহনী। সোহেল রানার কাট ব্যাক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন দিদিয়ের।

 

নির্ধারিত সময় ২-২ সমতায় শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৫ মিনিটে জয়সূচক গোলের জন্ম। কাওসার আলী রাব্বির ক্রস থেকে ম্যাথিউর শট ফিরিয়ে দেন গোকুলামের এক ডিফেন্ডার। তবে ম্যাথিউর ফিরতি হেড জড়িয়ে যায় জালে। শেষ দিকে কিসেক্কা লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ভারতীয় দলটি।

আরও সংবাদ