এক সপ্তাহের মধ্যেই আবরার হত্যার চার্জশিট : মনিরুল নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভলপমেন্ট করপোরেশনে (বিএফডিসি) আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্ররাজনীতি না মূল্যবোধের অবক্ষয়, কোনটি দায়ী’ শীর্ষক এই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ড একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তারা সবাই দুর্বৃত্ত ও অপরাধী। আবরার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কার কী দায়, তা নিরূপণ করা হচ্ছে এবং মামলায় নিখুঁত অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। আমরা আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দাখিল করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মেধাবী মাত্রই আমরা মূল্যবোধসম্পন্ন বা বিবেকসম্পন্ন বলতে পারি না। কাগুজে নম্বরে তাই অনেককে আমরা মেধাবী আখ্যা দিলেও প্রকৃত মেধাবী তারাই, যাদের মূল্যবোধ রয়েছে, দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি, সমাজের প্রতি ও পরিবারের প্রতি দায় রয়েছে। আর এই মূল্যবোধ পর্যায়ক্রমে তৈরি হতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবরার হত্যার সময় পুলিশ মূলত তথ্যের অপর্যাপ্ততার বাধার সম্মুখীন হয়েছে। উপযুক্ত তথ্য পেলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। আবরার কখন প্রাণ হারিয়েছে সে রকমের কোনো তথ্যই পুলিশের কাছে ছিল না। বুয়েটে পুলিশ কখন গিয়েছে, কি পদক্ষেপ নিয়েছে সবই চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। আবরার হত্যার আসামিরা মদ্যপ ছিলো বলে তদন্তে পাওয়া যায়নি। মদ্যপানের কারণে বা নেশাগ্রস্ত হয়ে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমাদের তদন্তে মনে হয়নি। আর স্বাক্ষীতেও মদ্যপানের কথা আসেনি। তাই আসামিরা মদ্যপ ছিলো বলে শাস্তি লঘু হবার কোনো সুযোগ নাই।’

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করেন।

আরও সংবাদ