বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্যদের পদত্যাগপত্র ‘গ্রহণ করেননি’ মির্জা ফখরুল।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীর পদত্যাগপত্র ‘গ্রহণ করেননি’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলাশানের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান আরিফসহ সিলেট বিএনপির তিন নেতা।আরিফের সাথে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।এ সময় বিএনপির মহাসচিব তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটি নিয়ে তিনি অবগত আছেন।এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ফখরুল।প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর শুক্রবার সিলেটে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের পরপরই যুবদল ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় সভা করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।ওই সভা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সভায় বিএনপির ও যুবদলের অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীরা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের থামিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন তারা নিজেরাই দলের কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এতে দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতি করা কেউ ঠাঁই পাননি। ঠাঁই পেয়েছেন বিশেষ একজন কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারীরা। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, দলীয় কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরেই সঠিকভাবে চলছিল না। বিশেষত বিভিন্ন কমিটি গঠনের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। বিশেষ ব্যক্তির ইচ্ছায় কমিটি হয়ে যাচ্ছে। আমরা লিখিতভাবে বিষয়টি দলীয় মহাসচিবকে অবহিত করবো। এসবের প্রতিকার চাইবো। লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনো সুরাহা না হলে আমরা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেবো।তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। রোববার সশরীরে ঢাকায় গিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবো। এরপর আপনাদের সবকিছু জানাবো। আমরা মনে করি, দল যে এখন ভুলভাবে চলছে তার প্রতিবাদ করা উচিত।এরই জের ধরে আজ রোববার সিলেট বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেলে মহাসচিব তাদের পদত্যাগপত্র ‘গ্রহণ না করে’ দলের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানান।