রোহিত ঝড়ে অসহায় হার বাংলাদেশের
রোহিত ঝড়টা শেষ করে দিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। ২০ রান কম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। অনেকে আরেকটু কঠোর হয়ে বলেছেন, ২৫ রান কম করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এমনই ঝড় তুললেন রোহিত শর্মা যে বাংলাদেশের স্কোর কত ছিল সেটা আর বিবেচনাতে এলই না। এমন ভয়ংকর রূপে কেউ থাকলে প্রতিপক্ষের স্কোর যত বড়ই হোক না কেন, দিন শেষে তা মামুলি হয়ে যায়। বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য ভারত ছুঁল ২৬ বল হাতে রেখে। ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত।
ইনিংসের প্রথম বলেই ওয়াইড দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের বলটাও তাই। আদর্শ শুরু বলা যাবে না কোনোভাবেই। সেটার পরিপূর্ণতা দিলেন শিখর ধাওয়ান। টানা দুই চারে প্রথম ওভারেই ১১ রান পেল ভারত। পরের দুই ওভারে রোহিতের একটি চার ছাড়া আর খুব বেশি কিছু হয়নি। ৩ ওভারে ২২ রান ছিল ভারতের।
রোহিত খোলস ছেড়ে বের হলেন পরের ওভারে। মোস্তাফিজকে প্রথমে দুই চার হাঁকালেন, চতুর্থ বলটাকে মোস্তাফিজের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা। ষষ্ঠ ওভারে অমন ছক্কা জুটল শফিউল ইসলামের কপালে। মাঝের ওভারে টানা দুই চার খেয়েছেন আরেক পেসার আল আমিন হোসেন। স্পিনাররা এসেও সুবিধা করতে পারেননি। লেগ স্পিনার আমিনুলকে বাজিয়ে দেখার দায়িত্ব নিলেন ধাওয়ান। সে ওভারে এল ১৩ রান। আফিফকে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে ২৩ বলে ফিফটি পেয়ে গেছেন রোহিত।
পরের ১১ বলে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। তাতেই ৯ ওভারে ৯২ ভারতের! কিন্তু আসল উৎসব শুরু হলো দশম ওভারে। রোহিতের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানের সামনে অফ স্পিনে শর্ট বল করার দুঃসাহস দেখালেন মোসাদ্দেক। মিড উইকেট দিয়ে উড়ে গেল প্রথম বলটি। দ্বিতীয়টি গেল ডিপ স্কয়ার দিয়ে, ১০০ পেরোল ভারত। তৃতীয় বলটাও গ্যালারিতে আশ্রয় নিল। ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১১৩। এতে ২৮ রান অবদান ধাওয়ানের (২৪ বলে)। আর ৩৬ বলে ৭৯ রান করেছেন রোহিত।
শেষ ৬০ বলে জয়ের জন্য ৪১ রান দরকার ছিল ভারতের। এরপরই একটু স্বাভাবিক হলো সবকিছু। আমিনুলের বলে বোল্ড হলেন ধাওয়ান (৩১)। লেগির পরের ওভারে হাঁকাতে গিয়ে বিদায় নিলেন পঞ্চম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির স্বপ্ন দেখতে থাকা রোহিত। ৪৩ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ রান করে তবে ফিরেছেন অধিনায়ক।
বাকি ২৯ রান তোলার জন্য ৪৬ বল হাতে ছিল ভারতের। লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ারের (২৩) দরকার হয়েছে মাত্র ২০ বল।