জুড়ীতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ব্যবসায়িদের কাছে প্রভাব খাটানো, জুয়ার আসরে চাঁদাদাবি,আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে বেয়াদবি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
এত অভিযোগের পরও কোন ধরনের শাস্তি পাচ্ছে না সে।এতে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সহ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার কামিনীগন্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,বর্তমান উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল গত ২ অক্টোবর তার চাচা স্হানীয় জাঙ্গীরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া স্হানীয় ব্যবসায়িদের সাথে কথা কাটাকাটি করেন।ব্যবসায়িরা এসবের প্রতিবাদ করলে সে তার অনুসারী সামিম মোল্লা,মোহাইমিন,আলামিন সহ কলেজ ছাত্রলীগে তার অনুসারী ২০–২৫ জন ছেলে নিয়ে এসে ব্যবসাীয়িদের গালাগালিসহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।পরবর্তীতে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী কামাল হোসেন ইকবাল ভূইয়া উজ্জলের বাবা কাইয়ূম ভূইয়াকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি উল্টো ব্যবসায়িদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে বলেন,আমার ছেলে ছাত্রলীগের নেতা।তোরা কিছুই করতে পারবি না।
চাল ব্যবসায়ি মর্তুজা আলী,জহিরুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন,ভাই আমরা নিরীহ ব্যবসায়ি মানুষ।ব্যবসা করে জীবন চালাই। কিন্তু এরকম সমস্যা করলে আমরা কিভাবে চলবো।আমরা এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।উনারা তদন্ত সাপেক্ষে এটার বিচার করবেন।
গত ৭ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী জহিরুল ইসলাম লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বরাবরে এসব অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে লিখিত দরখাস্ত করেছেন।যার অনুলিপি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
কামিনীগন্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হাজী কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষক সমাজের দর্পন। তাই বলে একজন শিক্ষক ভূল করলে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী এসে হুমকি দেয়।এটা তো জুড়ীর ইতিহাসে অতীতে ঘটেনি।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ব্যবসায়িদের সাথে প্রধান শিক্ষকের সমস্যা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
ইতিপূর্বে ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল নিরোধ বিহারী স্কুল মাঠে পূজার সময় জুয়াখেলা চলাকালে সেখানে চাঁদা দাবি করে, বন্যার সময় ত্রান বিতরনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক প্রবীণ নেতার চেয়ার নিয়ে যায়। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জুড়ীতে সফরে আসলে সে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিসবাহুর রহমানের কাছে ক্ষমা চায়।এসব নিয়ে সে সেই সময় থেকে আলোচিত হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম মুঠোফোনে প্রতিবেদকে বলেন, আমি এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। এসব ঘটনা সত্যি হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল বলেন, এসব ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।