মিসবাহ সিরাজের তোপে সুলতান মনসুর
মৌলভীবাজারবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য, গণফোরামের বহিস্কৃত সাবেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে এক হাত নিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সুলতান মনসুরের কঠোর সমালোচনা করেন মিসবাহ সিরাজ। সুলতান মনসুরের নির্বাচনী এলাকা কুলাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর পর রোববার স্বাধীনতা সৌধ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী তাকে (সুলতান মনসুর) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছেন, ডাকসুর ভিপি বানিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ভার দিয়েছিলেন, এমপি বানিয়েছেন। তবুও আওয়ামী লীগের সাথে বেইমানি করেছেন। নেত্রীর সাথে বেইমানি করেছেন। দলীয় নেতৃবৃন্দের বুকে ছুরি মেরে চলে গেছেন।
সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল জব্বারের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, সুলতান মনসুর জব্বার ভাইকে কষ্ট দিয়েছেন। সেই কষ্ট থেকে আলাহ কোনোদিন রেহাই দেবেন না। বেইমান মুনাফিকের স্থান আওয়ামী লীগে হতে পারে না।
এর আগে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ এমপি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন।
প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিছবাহুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাধাপদ দেব সজল, জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান সুমনসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।