রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। তার নাম মো. আবদুল্লাহ আল ফাহিম (১৮)। তার বাবার নাম গোলাম রসুল। বাড়ি রাজশাহী নগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকায়।
একই সঙ্গে তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম যুবরাজ (১৯)। তার বুকের ডান পাশে ছুরির আঘাতের চিহ্ন আছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ফাহিম মারা যান। তিনি নগরীর বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিকালে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পিছনে দুই তরুণ এবং দুই তরুণী বসে গল্প করছিলেন।
তখন এলাকার ছেলে ফাহিম ও তার দুই বন্ধু যুবরাজ এবং সৈকত গিয়ে তাদের বলে, এখানে বসে থাকা যাবে না। এনিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে বান্ধবীর সঙ্গে বসে থাকা দুই তরুণীর একজন ছুরি বের করে ফাহিম ও যুবরাজকে আঘাত করে। এ সময় প্রাণভয়ে সৈকত পালিয়ে যায়। এরপর ফাহিম ও যুবরাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী দুই তরুণ তাদের বান্ধবীদের নিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, সন্ধ্যার একটু আগে ফাহিম ও যুবরাজকে হাসপাতালে আনা হয়। ফাহিমের বুকের বাম পাশে ছুরির আঘাত হয়েছিল। আর যুবরাজের বুকের ডান পাশে আঘাত আছে। যুবরাজ দাবি করেছে, ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরিকাঘাত করেছে।
যুবরাজের বরাত দিয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, বিকালে তারা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের পাশে বসেছিলেন। এমন সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী এসে তাদের কাছে যা আছে দিয়ে দিতে বলে। তারা আপত্তি করলে তারা তাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ছিনতাইকারীর বিষয়টি জানি না। বান্ধবীদের নিয়ে বসে থাকা দুই তরুণ এই ঘটনা ঘটেছে বলেই জানতে পেরেছি। তবে তাদের সনাক্ত করা যায়নি। তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ’