লেবাননে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে ডলার সংকটে বিপাকে পড়েছে প্রবাসীবাংলাদেশীরা
লেবাননে বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ডলার পাওয়া যেন এখন সোনার হরিণ পাওয়া মত। চলমান কর বিরোধী আন্দোলন থেকে রুপ নেওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে ডলার সংকটে বিপাকে পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
ডলার সংকটের কারণে বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত প্রবাসীদের নেবানিজ মুদ্রায় বেতন দেওয়ার ফলে দেশে টাকা পাঠাতে না পাড়ায় হতাশায় ভুগছেন বাংলাদেশীরা। বর্তমানে এক’শ ডলারের নেবানিজ মুদ্রায় ১৮০ থেকে ২৪০ লিরা বৃদ্ধির ফলে এ সমস্যা হচ্ছে যা আগের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। তারপরও কোথাও মিলছে না সোনার হরিণ নামক সেই ডলারের সন্ধান।
লেবাননে গত ১৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দেড় মাস পাড় হয়ে গেলেও তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশে জরুরি অর্থনৈতিক অবস্থা ঘোষণা, মার্কিন ডলারের সংকট, বাজেট অধিবেশনকে সামনে রেখে দ্রব্যপণ্যের উপর মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি, হোয়াটস অ্যাপের কল রেট বৃদ্ধি ও বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে লাখো লেবানিজ।
এদিকে বিক্ষোভের ১৩দিনের মাথায় গত ২৯ অক্টোবার প্রধানমন্ত্রী সায়াদ আল হারিরি পদত্যাগ করার পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছিলো লেবাননের পরিস্থিতি। রাস্তা ঘাটে যানবাহন চলাাচল সহ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে অফিস আদালতের কার্যক্রম। এতে করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যদিও রাষ্ট্রপতি সহ মন্ত্রীপরিষদের সকলের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো বিক্ষোভকারীরা।
তাছাড়া চলমান বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় দিনে দিনে ডলারের সংকট বেড়েই চলছে, এতে করে বিপাকে পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। নেবানিজ মুদ্রা কোনো ব্যাংকে না নেওয়ার কারণে দেশে কেউ টাকা পাঠাতে পারছেনা। এনিয়ে প্রবাসীদের মনে নানান সংশয় দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ডলারের সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনিয় আমদানিকৃত চাল, ডাল, তৈল, সিগারেট সহ বিভিন্ন দ্রব্যদি দামও আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি পেয়েছে।