লেবাননে বাংলাদেশিদের জন্য কম দামে ডলার কেনার সুযোগ!

হেলাল আহমদ,লেবানন প্রতিনিধিঃলেবাননে ডলার সংকটে পড়ে চরম দূর্ভোগে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে টাকা পাঠানোর জন্য বড় সুখবর দিয়েছে দেশটির জাতীয় ডাকঘর (বারিত) লিবান পোস্ট। কম দামে ডলার কিনে মানিগ্রামের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর এই সুবর্ণ সুযোগটি দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের নাগরিকদের জন্যই শুধু দেওয়া হচ্ছে।
মাত্র পাঁচ লাখ লিরা জমা দিয়ে টাকা পাঠানোর চার্জসহ ৩০৭ ডলার পাবেন। এ ক্ষেত্রে প্রেরক প্রবাসীকে আলাদা কোন চার্জ দিতে হবে না। বর্তমানে বাজারে প্রতি ১০০ শত ডলারে ২ লাখ লিরা গুনতে হচ্ছে প্রবাসীদেরকে। আর লিবান পোস্টের দেওয়া সুযােগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ১০০ ডলারের জন্য ১ লাখ ৬৭ হাজার লিরা প্রয়োজন হবে।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে শুরু করে পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে “লিবান পোষ্ট” এর যে কোন শাখা থেকে লিরা জমা দিয়ে ডলারের অংকে দেশে টাকা পাঠানো যাবে । টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের মুল পাসপোর্ট বা মূল আকামা লাগবে।প্রবাসী বাংলােদশিরা এক সঙ্গে ৩০৭ ডলার নিতে হবে ৫ লাখ লিরায়। যারা ৫ লাখে বেশি লিরা পাঠাতে চান তাদেরকে আবার ২য় বার পাঠাতে হবে।
এ সুযোগ গ্রহন করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানিয়েছে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদিকে খবর পেয়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ভিড় করেন লিবান পোস্টের শাখাগুলোতে। তারা কম দামে ডলার কিনে দেশে টাকা পাঠাতে পেরে অনেক বেশি খুশী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীল লেবাননের স্থানীয় মুদ্রা লিরা দুই দশকেরও বেশি সময়ে প্রথমবারের মত মূল্যহ্রাসের ফলে দেশটির অর্থনৈতিক খাতে আর্থিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশটিতে মার্কিন ডলার সংকট দেখা দেয়। ব্যাংকসহ এটিএম বুথগুলো থেকেও গ্রাহককে ডলার দেওয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট ডলার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলে।
ডলার সংকটে সবচেয়ে বড় সমস্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মালিকরা সব সময়ই ডলারে মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও বর্তমানে কেউই ডলারে বেতন দিচ্ছে না।। দিবেনইবা কিভাবে তারাও নিজেরাও পড়েছেন একই সংকটে।
আগে লিরাকে ডলারে রুপান্তরিত করতে প্রতি ১০০ শত ডলারে দেড় লাখ লিরা লাগতো। ডলার সংকট শুরুর পর তা সাম্প্রতিক সময়ে ২ লাখ ৪০ হাজার লিরা পর্যন্ত ঠেকেছিল, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে য়ায়। এর চেয়ে বড় বিষয় বাজারে ডলারই পাওয়া যাচ্ছে না এবং মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো এখন লিরাও নিচ্ছে না।
ফলে প্রবাসীরা ডলার সংকটে দেশে পরিবারের নিকট সময়মত টাকা পাঠাতে না পেরে অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েন অল্প বেতনে কাজ করা বাংলাদেশি কর্মীরা ।

আরও সংবাদ