ভয়কে কর জয়! এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে

ভয়কে কর জয়!

স্টুডেন্টদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় – “স্টুডেন্ট লাইফে কোন জিনিসটি না থাকলে সবচেয়ে ভালো হতো?”, তাহলে সবাই যে উত্তরটি দিবে তা হল – “পরীক্ষা”। কবি সুকান্তের মত আঠারো বছর বয়সী দুঃসাহসীরাও ভীত হয়ে পড়ে পরীক্ষার সামনে।

পরীক্ষা ভীতি খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যপার। পরীক্ষার সময় মানুষ যে মানসিক চাপ অনুভব করে তা নিঃসরণ ঘটায় অ্যাড্রেনালিন, কর্টেসোল সহ অন্যান্য স্ট্রেস হরমোনের। এজন্যই পরীক্ষা আসলে আমাদের ভয় শুরু হয়ে যায়।

পরীক্ষাভীতি যখন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়, তখনই তা অনেক ধরনের ক্ষতিকর লক্ষণ দেখায়। যেমন – ডিপ্রেশন, অস্থিরতা, মনোযোগের ঘাটতি, পরীক্ষার হলে সব ভুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।

এসব এড়াতে কিছু টিপস দিচ্ছি, কারন সামনেই HSC Exam।

১। মেডিটেশন:
মেডিটেশন বা ধ্যান অস্থিরতা দূর করতে খুবই কার্যকর। মেডিটেশন দুশ্চিন্তা দূর করে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করবে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করবে। মেডিটেশনের পাশাপাশি Breathing Exercise (যেটিকে দমচর্চা বা প্রাণায়ামও বলা হয়) একই রকম ফলপ্রসূ।

২। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস:
পরীক্ষা ভীতির সবচেয়ে বড় কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শুধু আত্মবিশ্বাসের অভাবে পরীক্ষা খারাপ হয়। তাই, পরীক্ষা ভীতির বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্র হবে – নিজের প্রতি এক ইতিবাচক মনোভাব।

৩। ঘুম:
পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষাভীতি উঠে যায় একেবারে এভারেস্টের চুড়ায়। মনে হবে – হায় হায়! কিছুই তো পারি না। তখন আমরা তারাতারি করে সবকিছু পড়তে যাই এবং ঘুমকে বিসর্জন দেই। চিন্তা করি – একরাত না ঘুমালে আর কী হবে? এটি কিন্তু অনেক বড় একটি ভুল। স্বাভাবিকভাবে, একজন মানুষের সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এই কারনে পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই ভালো ঘুম প্রয়োজন।

৪। খাবার:
পরীক্ষার সময় আমাদের প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যে পরিবর্তন আসে। যার প্রভাব পড়ে খাদ্যাভ্যাসেও। এই খাদ্যাভাস কিন্তু অনেক ভাবেই আমাদের পরীক্ষাভীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ, আমাদের গ্রহণকৃত খাদ্য সরাসরি আমাদের মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের বদলে আমাদের গ্রহণ করা উচিত কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সম্পন্ন খাবার।

৫। সোশাল মিডিয়াতে সময় কমিয়ে দেয়াঃ 
সোশাল মিডিয়া এখন আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটা অংশ হয়ে দারিয়েছে। আমরা চাইলেও এটাকে বাদ দিতে পারব না। কিন্তু পরীক্ষার আগে আমাদের উচিত সোশাল মিডিয়াতে একটিভিটি কমিয়ে দেয়া এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা। সোশাল মিডিয়াকে এডিকশনের পর্যায়ে নেয়া যাবে না।

৬। রুটিন অনুযায়ী প্ল্যান তৈরি করঃ
Exam Routine প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে রুটিন সংগ্রহ করে নাও। দেখে নাও কোন পরীক্ষার মাঝখানে কতদিন গ্যাপ রয়েছে। সেই অনুসারে তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতির প্ল্যান তৈরি কর।

আমরা যদি একটু অন্যভাবে চিন্তা করি, পরীক্ষা হচ্ছে নিজেদেরকে প্রমাণ করার জন্য একটি সুযোগ । তাহলে, শুরু হয়ে যাক পরীক্ষার ভয়কে জয় করার লক্ষ্যে তোমার যাত্রা।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান 

আরও সংবাদ