কমলগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সিএন জি চালকরা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে যাত্রীরা
সারা বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনাভাইরাসে মানুষজন যখন দিশেহারা। তখন সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই । মুখে ব্যবহারের মাক্স ও হাতে গ্লাভস ছাড়াই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে সিএনজিতে পর্দা টানিয়ে শিশু বাচ্চা সহ ৭ থেকে ৮ জন করে যাত্রী নেয়া আনা করছে সিএনজি পেরোয়া ড্রাইভাররা। পাশাপাশি বসে নেই টমটমও সাথে রয়েছে চালকদের নৈরাজ্য ও যাত্রীদের অহেতুক চরম হয়রানি দিন দিনই বেড়েই চলেছে । তিনজনের জায়গায় ৪/৫ যাত্রী এবং সেই সাথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তারা।
উপজেলার চৌমুহনী থেকে মৌলভীবাজার শহর পর্যন্ত যেখানে সিএনজির ভাড়া ছিল ৪০ টাকা সেখানে তারা যাত্রীদের নিকট থেকে সময় বেঁধে ৮০ বা তার বেশি ভাড়া আদায় করছে অসাধু বেপরোয়া চালকেরা। কাবুতে যাত্রীরা। চৌমুহনা হতে শমশেরনগরে পূর্বের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৩০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে এমন ও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার সব কয়টি স্ট্যান্ডে সিএনজি চালকরা একই কায়দায় এভাবে করে চলেছেন। ভানুগাছ চৌমুহনী হতে শ্রীমংগল পর্যন্ত ৪০ টাকার জায়গায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা ।
রোডে যেখানে প্রশাসন থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ৩ জন যাত্রী উঠানোর কথা সেখানে চালকরা সুকৌশলে সিএনজির পর্দা টানিয়ে পুলিশ চক্ষু ফাঁকি দিয়ে ড্রাইভিং সিটে আরও দুজন করে উঠাচ্ছেন। এবং সেই সাথে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন যাত্রীরা বাধা দিলেও তা অমান্য করে উল্টো তাদের হেনেস্তা করার অভিযোগ রয়েছে । কোন কিছু বললেই তারা “করোনাভাইরাস পরিস্তিতি” কে পূজি করে যাত্রীদেরকে ভাড়া নিয়ে অহেতুক জিম্মি করছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজর করলে বেপরোয়া ড্রাইভার /চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার সুযোগ পাবে না। আর সরকারের পুরো নিয়ম মেনে চলতেও বাধ্য থাকবে। কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর ধারণা নতুবা সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না এবং সেই সাথে যেকোন সময় চালক ও যাত্রীদের মধ্যে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ও ঘটতে পারে। প্যাসেঞ্জার যাত্রী পরিবহনের পরে একবার করে গাড়ি পরিষ্কার পরিছন্নতা করার নিয়ম থাকলেও এ নিয়ম পালন করতে কোন চালককে লক্ষ্য করা যায়নি ফলে বাড়তে পারে করুণা সংক্রমণ। এ বিষয়ে সাধারণ যাত্রীদের আশা, কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কড়া নজর রাখলে ড্রাইভাররা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবেনা এবং সাস্থ্যবিধি ও মেনে চলবে।
এশিয়াবিডি/কামরান/আজামি