ঈদের শিক্ষা
আরবি ‘আওদ’ শব্দ থেকে ‘ঈদ’ শব্দের উৎপত্তি। এটি সাধারণত দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয় : ১) আনন্দ, খুশি। এ অর্থটি পবিত্র কোরআনে ব্যবহৃত হয়েছে এবং হাদিসেও এসেছে। ২) অপর অর্থ বারবার হাজির হওয়া, ফিরে আসা প্রভৃতি। ঈদ প্রতি বছর আনন্দের পয়গাম নিয়ে হাজির হয়।
পৃথিবীতে যেমন অনেক জাতির মানুষ রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের আনন্দ, বেদনা প্রকাশের কতিপয় বিশেষ দিন। অন্যান্য জাতির ন্যায় মুসলিম মিল্লাতেরও কতোগুলি স্মরণীয় দিন রয়েছে, যেসব দিনে তারা নানা রূপ আনন্দ-উৎসব পালন করে থাকে। কিন্তু ঈদের আনন্দ ও অন্যান্য আনন্দের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।
মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের সওগাত সমৃদ্ধ হয়ে ত্যাগ-তিতীক্ষা ও সংযম সাধনার দিক্ষা নিয়ে যে রমজানুল মুবারক এসেছিল, তার বিদায়লগ্নে বিমল আনন্দের অনুপম মাধুরী এনে দিয়েছে ঈদুল ফিতর। কিন্তু অন্যান্য অনুষ্ঠানের চেয়ে এর স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ভিন্নতর। উৎসবের নামে অনাচার-কদাচার আর নৈতিকতা বিবর্জিত বন্ধুহীন অনুষ্ঠান আড়ম্বরের কোন অবকাশ নেই ইসলামের অনুমোদিত এ আনন্দে। বরং এ আনন্দ সংযমের ও আনুগত্যের। বছরে দুটো বিশেষ দিনে এরূপ আনন্দের অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। তার একটি হলো ঈদুল ফিতরের দিন, অন্যটি ঈদুল আযহার দিন।
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) যখন মদীনায় হিজরত করেন, তখন তিনি সেখানকার নও-মুসলিমদের দুটো বিশেষ দিনে নানারূপ খেলা-তামাশার মাধ্যমে আনন্দোৎসব করতে দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এ দুটো দিন তোমাদের এরূপ করার কারণ কি?” তারা বলল, “আমরা জাহিলী যুগেও এ দুটো দিন এমনি খেলা-তামাশার মাধ্যমে উদযাপন করতাম।” নবী মুহাম্মদ (সঃ) বললেন, “আল্লাহ তোমাদের আনন্দোৎসবের জন্য এর চেয়েও দুটো উত্তম দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার একটি হলো ঈদুল ফিতরের দিন, পহেলা শাওয়াল। অপরটি হলো ঈদুল আযহার দিন, দশই জিলহজ্জ।
নবীজী পহেলা শাওয়ালকে ঈদের দিন ঘোষণা করেন। আল্লাহ নবীর ইচ্ছা অনুযায়ী ঈদের আনন্দ মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ করলেন। সেই সময় থেকেই চলে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রমজানের রোযাও ঐ বছরেই চালু হয়েছিল। রমজানের রোযা ও ঈদ-উল ফিতর হিজরী দ্বিতীয় বছর চালু করা হয়। ঐ বছর রোযা শেষ হবার ১২ দিন আগে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আর রোযার শেষে পহেলা শাওয়াল অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ঈদুল ফিতরের উৎসব। “আল্লাহ আকবর” ধ্বনি দিতে দিতে মুসলমানরা খোলা ঈদের ময়দানে গিয়ে হাজির হলো। নবীজী উপস্থিতি সকল মুসলমানকে সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করলেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা পড়ে ঈদের আসল তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন।
তাই ঈদকে কেবলমাত্র আনন্দের বা পানাহারের উৎসব বলে বিবেচনা করলে চলবে না, ঈদের উৎসব পালনের মধ্যে যে ধরনের সৌভ্রাতৃত্ব, তাকওয়া রক্ষা করে চলা এবং ত্যাগের মহান অনুপম তাপর্য রয়েছে তা উপলব্ধি করতে হবে।
দীর্ঘ একমাসের সিয়াম সাধনার অনল দহনে দগ্ধ হবার পর মুমিন বান্দার পক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে নির্মল ও নিখাদরূপে উপস্থিত হবার দিন হলো ঈদুল ফিতর। এ দিনের স্বচ্ছ সুন্দর ও মধুর প্রভাতে মুমিন বান্দার মন কৃতজ্ঞতায় ভরে যায়। বস্তুত দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পরে ঈদের আনন্দ হচ্ছে আল্লাহর শুকরিয়ারই বহিঃপ্রকাশ। মুসলমানদের আদর্শিক লক্ষ্য ও গুরুত্বের মাপকাঠিতে বিচার করলে দেখা যায় ঈদুল ফিতরের এ খুশী মোটেই নিরর্থক নয়। ইসলামের অসংখ্য শিক্ষার ন্যায় ঈদুল ফিতরেরও কয়েকটি অনুপম সুন্দর শিক্ষা রয়েছে। যেমনঃ
১। ঈদের এ মহান দিনে মুসলমানদের জাতীয় জীবনে সাম্য মৈত্রের বন্ধন দৃঢ় করার আবেদন তীব্র হয়ে দেখা দেয়।
২। ইসলাম ত্যাগ-তিতীক্ষার, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দের যে শিক্ষা দিয়েছে, সেই মহান শিক্ষার তাগিদ নতুন করে আনে এ ঈদের মধুময় প্রভাতে।
৩। অসহায়, এতিম ও দরিদ্রের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার যে বাস্তব ট্রেনিং একমাস যাবৎ মুমিন বান্দা লাভ করে, তার ফলাফল প্রত্যক্ষ করার সময় হচ্ছে ঈদুল ফিতরের দিনটি।
৪। এ দিনের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আবেদন আসে সকল দিক থেকে।
৫। ঈদের দিন দু’রাকাত বিশেষ নামাজ পড়ে বিশ্ব জাহানের একচ্ছত্র অধিপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
৬। সামাজিক আদব-কায়দা ও শৃঙ্খলাবোধ বজায় রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় নতুন করে।
৭। অস্থায়ী জীবনের এ একদিনের আনন্দের পর স্থায়ী ও চিরন্তন জীবনের মহাআনন্দের জন্য নিজেকে প্রস্তত করার তাগিদ দেখা দেয়।
৮। ঈদের দিনে নানা প্রকার মিষ্টি দ্রব্যসামগ্রী দৈহিক তৃপ্তিলাভের সাথে সাথে আত্মিক তৃপ্তি লাভের চাহিদাও। দেখা দেয় তীব্রভাবে।
৯। অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নৈতিকতাহীন কর্মকান্ড পরিহার করে তাকওয়া অর্জন করার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
ঈদুল ফিতরের আনন্দ আমাদের বিনয়ী, ন¤্র ও হৃদয়বান করে তোলে, যেন ঈদের প্রভাত থেকেই আমরা পরের সুখে সুখী হবার তাগিদ অন্তরে অনুভব করি। ছোটদের প্রতি স্নেহ-মমতা এবং বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তির প্রাণ-প্রবাহে আমাদের হৃদয়মন ভরে যায়। স্রষ্টার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার সাথে সাথে আমরা যেন সৃষ্টির সাথে সদ্ব্যবহার করতে পারি, যেন সৃষ্টিকে ভালবেসে স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করতে পারি। বস্তুত নিছক একদিনের হৈ-হুল্লোড় ও মাতামাতিতেই ঈদের সার্থকতা নিহিত নয়। বরং প্রত্যেক ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন মনমানস ও উন্নত চরিত্রের অধিকার লাভ করাতেই রয়েছে ঈদ উৎসবের আসল সার্থকতা।
কাজেই মাহে রমজানের পবিত্র দিনে নির্লজ্জভাবে পানাহারকারীদের জন্য ঈদের আনন্দ নয়, ঈদুল ফিতরের উৎসবে তাদের কোন অধিকার নেই। মহানবী মুহাম্মদ (সঃ) এর ভাষায় “এ আনন্দ তাদের জন্য ওয়ায়ীদ বা শাস্তির হুমকিস্বরূপ।” তিনি বলেছেন, “ঈদ আনন্দ তার জন্য নয়, যে ব্যক্তি কেবল মাত্র নতুন জামা পরিধান করে, বরং ঈদ হচ্ছে তার জন্য, যে আল্লাহকে ভয় করে। বস্তুত আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে এমন এক অপার্থিব আনন্দ রয়েছে, যা ঈদের আনন্দের চাইতেও অনেক সময় বেশী তৃপ্তিদায়ক। ঈদের প্রভাতে মুসলমানদের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, “আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবকিছুই আল্লাহর জন্যে।”
মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ যে কত অসীম, ঈদের পবিত্র দিনে মুমিনবান্দা তা চিন্তা করে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। তারা বৃথা সাজ-সজ্জা ও নিস্ফল আনন্দের পরিবর্তে রসুল করীম (সঃ) এর নির্দেশ পালন করেই পরিতৃপ্ত হয়। ঈদের দিনে আল্লাহর কাছে তওবা করো, কারণ এ দিনে তওবা কবুল হয়। মুমিন বান্দা তাই মোনাজাত করে, “হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার রোযা কবুল করো, আমাকে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে নাও।” আরো শোনা যায়, মুমিনের কান্না কাতর কণ্ঠের আবেদন ঃ “হে আমার জীবন-মৃত্যুর মালিক! তুমি আমার অজ্ঞানতাপ্রসূত কৃতকর্মের ভুলত্রুটি ক্ষমা করো। আমাকে জাহান্নামের কঠিন আযাবে নিক্ষেপ করো না। সৃষ্টিকর্তা! তুমি গুনাহ-খাতা মাফ করো, আমার ঈদকে তুমি সফল এবং সার্থক করো।”
রসুলে করীম (সঃ) এর সাহাবায়ে কিরামগণ ঈদের দিনে নির্জন প্রকোষ্ঠে আল্লাহর দরবারে নিজেদের যাবতীয় গুনাহখাতা ক্ষমা চাইতেন। আল্লাহ-ভীতি তাদেরকে নিরর্থক আনন্দ থেকে বিরত রাখত। খুশী আনন্দের এ পবিত্র দিনে তারা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে রোজা কবুলের জন্য দোয়া করতেন। যানবাহনে আরোহন করে সখ ও কৌতুহল প্রকাশ করতে তাদের অন্তর ভীত বিহবল হয়ে পড়ত। কেননা তারা রসুলে মকবুল (সঃ)-এর পাক জবানে শুনেছেন, “ঈদের আনন্দ তার জন্য নয়, যে উর্ধ্বে আরোহণ করেছে। ঈদের আনন্দ তো সেই মুমিনের জন্য যে রমজানের কৃচ্ছ সাধনায় নিজ জীবনকে পবিত্র করেছে।”
দুঃখ দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে যারা জর্জরিত, ঈদুল ফিতরে তাদেরও বিশেষ আনন্দের ব্যবস্থার জন্য সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব করা হয়েছে। মক্কা-মুয়াজ্জমার অলিতে-গলিতে লোক পাঠিয়ে নবী করিম (সঃ) ঘঘাষণা করেছিলেন, “জেনে রেখো, সদকায়ে ফিতরা প্রত্যেক মুসলমান নারী পুরুষ, আযাদ-গোলাম ও বড়ছোট সবার প্রতি ওয়াজিব।” সদকায়ে ফিতরের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে নবী করীম (সঃ) বলেছেন, “সদকায়ে ফিতরের বদৌলতে আল্লাহু ধনীর গুনাহসমূহ মাফ করেন এবং গরীবের সঙ্গতিকে বাড়িয়ে দেন।”
ঈদুল ফিতরের পবিত্র ও প্রশান্তিময় আনন্দের দিনে সিয়ামের শিক্ষাকে ভুলে গেলে দীর্ঘ এক মাসের সাধনা পূর্ণতা লাভ করবে না। রমজানের সাধনায় কে কতটুকু সংযমী ও পরহেযগার হতে পেরেছে, পরবর্তী সময়ের কাজ কর্মেই তা প্রমাণিত হবে। আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগ-তিতীক্ষায় যে সবক দিয়ে গেছে রমজানুল মুবারক, ঈদের পূণ্য প্রভাত হতেই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। সফলতা ব্যর্থতার বাছ-বিচার শুধু একমাসের সাধু জীবন যাপনেই নয়, বরং আল্লাহর আনুগত্যকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমেই হতে পারে। সারা বছর যারা মনে রাখতে পারে এবং আমল করতে পারে যে, “যে ব্যক্তি আপন প্রতিবেশিকে অভুক্ত রেখে নিজে পেটে ভরে খায়, তার কোন ইবাদতেই আল্লাহ কবুল করেন না তারাই সিয়ামের শিক্ষা ও ঈদের আনন্দে গৌরব বোধ করতে পারেন।
অনেক সময় দেখা যায়, একশ্রেণীর মানুষ ঈদের বাজারে কেনাকাটার আনন্দে এত ব্যস্ত থাকে যে, শেষ পর্যন্ত ঈদের দু’রাকাত নামায আদায় করতে পারে না। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এদের কাছে আল্লাহর এ খোশ খবরের কোন মূল্য নেই। “শোন ফেরেশতারা! আমার প্রিয় বান্দারা তাদের উপর অর্জিত কর্তব্য পালন করে আবার দৌড়ে আসছে আমার দিকে, আমার করুণা প্রার্থী হয়ে। আমি আমার সন্ত্রম, আমার উচ্চ মর্যাদার শপথ করে বলছি, তাদের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়ে, তাদের আমার দরবারে কবুল করে নিলাম।” কাজেই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে দেহ মনকে নির্মল ও পবিত্র করে নেয়ার পর ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা যেন মোনাজাত করে বলি, “হে প্রভু! তুমি আমাদের রোজা কবুল করে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে নাও। সাহাবায়ে কিরামের মত ঈদের প্রভাতে আমরা যেন রসূলে পাক (সঃ) এর এ মহান বাণীর শিক্ষা অনুসরণ করতে পারি, “ঈদের দিনে আল্লাহর কাছে তওবা করো, কারণ এ দিনে তওবা কবুল হয়।”
বস্তুত এভাবে যদি আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারি, তাহলে আমাদের একটি মাসের সিয়াম সাধনা সার্থকতার ফলে-ফুলে ভরে উঠবে এবং আরো পবিত্র মন-মানস নিয়ে ঈদুল আজহার কুরবানী তথা সকল প্রকার ত্যাগ তিতীক্ষার জন্য প্রস্তত হতে পারব। আর পবিত্রতা ও ত্যাগের মহড়া আমাদেরকে পৌঁছে দেবে সাফল্যের সর্বোচ্চ মঞ্জিলে। পরিশেষে বলা যায়, ঈদ উৎসব সার্বজনীন, সুন্দর ও সার্থক করতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রকে ইসলামী আদর্শে পূর্ণগঠন করতে হবে। তা না হলে আলাদাভাবে শুধু ঈদ উদযাপনকে সুন্দর করা যাবে না। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যাবে না। নির্মূল করা যাবে না সন্ত্রাস ও দুর্নীতি। যাকাত ও উশর ভিত্তিক অর্থনীতি ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন করা অসম্ভব। আর দারিদ্র্য বিমোচন ছাড়া ঈদ সর্বজনীন হবে না। ঈদকে সার্বজনীন করতে হলে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম করতে হবে। কুরআনের রাজ কায়েম করা ছাড়া মানুষের মুক্তি নেই।
ঈদের শিক্ষা হলো সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মবোধের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সম্প্রসারণ।
লেখক: সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান