রাজনগরের ৮ কেন্দ্রে ৫ সহস্রাধিক টিকা প্রদান
বাড়ির ধারে (কাছে) টিকা দিতাম ফারমু (দিতে পারবো) ভাবতে ফারছিনা। টিকা কোনান (কোথায়) গিয়া দিতাম চিন্তাত আছলাম (ছিলাম)। এবুলকা (এখন) বাড়ির খান্দাত (কাছে) টিকা দিতে পারায় শান্তি পাইছি (পেয়েছি)। উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের বানারাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার সকালে করোনা টিকা দিয়ে কথাগুলো বলছিলেন একই গ্রামের আক্তারুন বেগম (৫১)। এ কেন্দ্রে ৬শ’ ডোজ টিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে দেয়ার জন্য।
শনিবার সকালে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৮টি টিকাদান কেন্দ্রে এক যোগে উদ্বোধন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় টিকাদান উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
সকালে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়। সবাই লাইনে দাড়ানো। পূরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। এ কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে। পূরুষ বুথ দুটি ও নারী বুথ একটি। পূরুষ বুথে তিনজন ও নারী বুথে তিনজন কর্মী নাম তালিকা করছেন। তবে টিকা পুশ করতে সময় না লাগলেও আইডি কার্ড নিয়ে আসাদের নাম তালিকা ধীর গতিতে হওয়ার কারণে টিকা প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে।
এদিকে টিকাদান কেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা যাতে বিগ্নিত হা হয় সে জন্য পরিমানমতো পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি টিকাদান কেন্দ্রের জন্য ৬শ করে টিকা বরাদ্দ ছিল। সকল কেন্দ্রেই সবকটি টিকা দেয়ার পরও উপজেলার টেংরা, পাঁচগাঁও ও রাজনগর সদর ইউনিয়নে অতিরিক্ত ২শ ৫০টি ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রথমদিন হিসেবে এটি ষফলতা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার সকালে টিকাদান উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াছমিন, সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বর্ণালী দাশ, রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব সজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন বখত, জেলা আ’লীগের সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, রাজনগরে টিকাদান শতভাগ সফল হয়েছে। টার্গেটের বাইরে আরো ২৫০ ডোজ বেশি প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিগুলো যথাযথ কাজ করায় আমরা সফল হয়েছি। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সুহেল