প্রাণ ফিরে পেল মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট!
স্যারা দেশের ন্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হলো মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষাদান। আজ (রেববার) সকাল ৯ টা থেকেই মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করানো হয় শিক্ষার্থীদের। উৎসব মূখর পরিবেশে আমেজ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবেশ করছে প্রিয় ক্যাম্পাসে।
সরেজমিনে কলেজে গিয়ে দেখাযায়, একজন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় থারমাল স্কেনার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপছেন গেটে থাকা ইনস্টিটিউটের স্টাফরা। জীবাণু নাশক স্প্রে করে তারপর ভেতরে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম পর্বের প্রথম শিফটের ফুড টেকনোলজির শিক্ষার্থী মরিয়ম জান্নাত ইস্পা বলেন, প্রায় ১৬ মাস ধরে অপেক্ষায় করছিলাম এই দিনটার জন্য। অনলাইন ক্লাসের সুবাদে অনেক বন্ধুদের সাথে পরিচয় হয়েছে। আজকে তাদের সাথে দেখা হলেও বন্ধুদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি করতে পারছি না। ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে খুব ভালোভাবে। আর আজ ক্লাসে এসে খুব ভালো লাগছে।
পঞ্চম পর্বের আরএসি টেকনোলজির শিক্ষার্থী আবদুল্লা-আল জুবায়ের জানান, ক্যাম্পাসে আসার আনন্দটাই অন্যরকম। দীর্ঘ দিন পর ক্যাম্পাসে এসে সবার সাথে দেখা হচ্ছে অনেক ভালো লাগছে।
সপ্তম পর্বের ফুড টেকনোলজির শিক্ষার্থী কোরাইনুল ইসলাম বলেন, নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটেছে আজকে, তাদের কয়েক জনের সাথে কথা বলে ভালো লাগছে। সবার সাথে দীর্ঘদিন পর ইনস্টিটিউটে খোলার যে আনন্দ সেটা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
অত্র ইনস্টিটিউটের পাশে অবস্থিত শাহিদ লাইব্রেরী। লাইব্রেরীর মালিক শাহিদ আহমেদ বলেন, আমার এই লাইব্রেরী এই ইনস্টিটিউটের উপর নির্ভর করেই গড়ে তুলা। দীর্ঘদিন ধরে ইনস্টিটিউটে বন্ধ থাকায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আজ ইনস্টিটিউটে আবার পূর্বের চেহারায় ফিরে এসেছে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি সেই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।
কলেজের পাশে শিমুলতলা বাজারের টাওয়ার মেস মালিক জায়েদ আহমদ বলেন, এতোদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মেসে শিক্ষার্থী ছিলো না। এতে ভাড়া না পেয়ে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিলাম। এখন কলেজ খোলায় আশাকরি ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারবো।
অত্র ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান(ফুড) এ.কে.এম খাদেমুল বাশার, সকাল ৮টা থেকে প্রথম শিফট এবং দুপুর ১ঃ৩০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২য় শিফটের ক্লাস চলবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পাঠদান অব্যাহত থাকবে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিল। আমরা খুব সচেতনতার সাথে মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে সবাইকে হাত দৌত করে এবং শরীরের জ্বর মেপে কলেজে প্রবেশ করিয়েছি৷ নতুনরা ছাড়া বাকি সবাই ইউনিফর্ম পরে ক্যাম্পাসে এসেছে। একটা ছেলের একটু সমস্যা হয়েছিলো, আমরা তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে সে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এশিয়াবিডি/কামরান/শুভ