ইসলামী নেতাদের জেলে ভরে কেমন আছে বাংলাদেশ?
চারিদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ দূর্নীতি। উচ্চ শিক্ষিত ডাকাত গুলো যেভাবে পারছে সেভাবেই লুটছে দেশ। বাথরুমের টয়লেট থেকে শুরু করে আকাশের বিমান পর্যন্ত দূর্নীতিতে ভরপুর। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যবস্থা! নেই আন্দোলন নেই আলোচনা! অনলাইন অফলাইনে আমাদের নিরব ভূমিকা!
অথচ বাংলার প্রতিটা ঘরের মানুষের পেটে পাথর বাধা। যারা ছাত্রলীগ যুবলীগ করে সরকার দলের কর্মী তাদের ঘরেও আজ ঠিকমতো পুরো বাজার আসছেনা! নিরবে নিবৃতে কাদছে জনগন!
কঠিন এক দূর্বিক্ষের দিকে এগুচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি। সিন্ডিকেটের দখলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। অথচ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিরব ভূমিকা!
একদিকে দ্রব্যমূল্যের জন্য মানুষের হাহাকার, অন্যদিকে সরকার দিচ্ছে মদের লাইসেন্স! অথচ চাল, ডাল, তেলের পিছনে মানুষের কি ছুটাছুটি?
দুইদিনে শুধু কয়েক জায়গায় এসবের বিরুদ্ধে জামায়াতের কয়েকটা মিছিল দেখলাম। অথচ তাদের সব নেতারাই জেলে! আদালত থেকে জামিন পাইলে আবার নতুন করে জেল গেইট থেকে নতুন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে!
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এই নির্যাতন থামানো প্রয়োজন নয় কি? এর খেসারত তো আবার জনগনকেই দিতে হচ্ছে!
যেদিন এই দেশের আলেমদের উপর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেদিন থেকেই মাথায় এই জিনিসটা ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ জাতির বিপ্লবী সেনানীরা ময়দানে থাকলে এই দূর্নীতির বিপক্ষে বার বার রাজপথ কাপতো!
ইসলামী দলগুলো কিংবা তাদের নেতাদের কোন ভূল পাইলে আমরা যেভাবে হৈচৈ শুরু করি বর্তমানে লুটেরার বিরুদ্ধে কি তা পারছি?
হাজারো সমালোচনার ভীড়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে রাজপথ তারাই দখলে রেখে বাংলার জনগণের ন্যায়সংগত দাবী গুলো বার বার সামনে এনে আওয়াজ দিত।
আর আমরা মিথ্যা বুলি ফুটিয়ে জঙ্গি, উগ্রবাদী, বলে তাদের থামিয়ে দিতাম! কিন্তু এটাই সত্য আলেমরা ছিল এই দেশের মানুষের মাথার ছায়া। বটবৃক্ষ যেভাবে পথিকের শান্তির কারণ ছিল এই দেশের আলেমরাও তেমন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বৃক্ষের ছায়ায় শান্তি নিয়ে সূর্যের প্রকট শেষ হয়ে গেলে সেই বৃক্ষকে কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেই।
যেসকল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আলেমদের উপর স্টিমরোলার চালালেন তাদের বিরুদ্ধে আজ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা কিসের জানান দেয়? দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটা বাহিনী র্যাব। এই র্যাবের বিরুদ্ধে আজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা? পুলিশ প্রধানের উপর নিষেধাজ্ঞা? এগুলোকি রাষ্ট্রের জন্য সম্মানজনক? জাতির জন্য লজ্জার কারণ নয়কি?
এসব নিষেধাজ্ঞা কি নিরপরাধ মানুষ গুলোর উপর বয়ে যাওয়া নির্যাতন গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেনা? অপরাধীরা আজ কারা তা কি বিশ্বের কাছে পরিষ্কার নয়?
নতুন করে ভাবার সময় এসেছে আমাদের। জাতির এই দুর্দিনে মুফতি আমির হামজা, মাওলানা মামুনুল হক্ব সহ ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/ মুবিন