যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর টাকা ফেরৎ পেলেন ভোক্তভোগি

২২ ফেব্রুয়ারী দৈনিক যুগান্তরের ১২ পৃষ্টায় ‘মৌলভীবাজারে এনআইডি কার্ড সংশোধনে ভোগান্তি‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর টাকা ফেরৎ পেলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রঙ্গিলকুল গ্রামের পর্তুগাল প্রবাসী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া। সংবাদ প্রকাশের পরপরই উনার কার্ডও হাতে পেয়েছেন। মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ঘুষের ওই টাকা ফেরৎ পাওয়ায় বন্ধুদের নিয়ে একটি পার্টিও দিয়েছেন।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “সংবাদ আসার পরেই মধ্যস্থতাকারী সেলিম আমাকে বড় স্যারের কাছে নিয়ে যায়। এরপরই সাথে সাথে আমার এনআইডি কার্ড পাই। সেলিম আমার টাকাও ফেরৎ দিয়েছে। কিন্তু এর আগে দুই আড়াই মাস হেটেও কার্ড পাইনি। অফিসে গেলে আজ কাল বলে বিদায় করে দিতেন। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এটা আমার জন্য সারপ্রাইজ। ওই টাকা পেয়ে আমি বন্ধুদের নিয়ে একটি পার্টিও দেই।”

তিনি আরও বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিচিত ২/৪ জনের কাজ হয়েছে। এমনকি ৬ মাস হেটেও যাদের কাজ হয়নি তাদেরও কাজ হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য দেশে আসছিলাম। কিন্তু পাসপোর্টের সাথে এনআইডি কার্ডের মিল না থাকায় প্রথমে করতে পারিনি। পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করে সময় মতো না পাওয়ায় করতে পরিনি।

তিনি বলেন, আবেদন করার পরে অফিসে গেলে আমাকে বলা হতো এটা মৌলভীবাজার, সিলেট কিংবা ঢাকা থেকে সংশোধন করে দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখি কুলাউড়া অফিস থেকেই দেয়া যায়। এতো দিন আমাকে হয়রানি করা হয়েছে।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমার কার্ড হস্তান্তর করার সময় আমার একটা ভিডিও রেকর্ড রাখেন। আমার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি ভিডিওতে এটা বলার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমাকে বলেন। আমি কার্ডটি পাওয়ার জন্য মূলত এটা বলেছি। কিন্তু আসার সময় আমি নির্বাচন অফিসারকে বলে এসেছি আমি যদি ওই এনআইডি কার্ড নাও পাই তারপরেও আমার কানো সমস্যা হবে না। আমি এখন পর্তুগালের সিটিজেন।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনি শুনলে অবাক হবেন দেশে আসার পরপরই স্মার্ট কার্ড (ভুলটা) আনার সময়ও ওই সেলিমকে পাঁচশত টাকা দিতে হয়।

এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই তদন্তেও রয়েছে নানা গাফলা।
এবিষয়ে কুলাউড়া নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবাল বলেন, এরকম কাউকে কার্ড দেয়া হয়েছে কি না আমার স্মরণে নেই। মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া নামে কাউকে আমি চিনিনা। কারো রেকর্ডও আমি রাখিনি।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কেকে
আরও সংবাদ