‘এক বেলার আহার’ পেয়ে ঈদের খুশি!

এশিয়ার সর্ব বৃহৎ হাকালুকির হাওর। এই হাওরের বুকেই অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়ন। দেশব্যাপী ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সবকটি জেলা। রাস্তাঘাট ভেঙে হাওর অধ্যুষিত ভুকশিমইল ইউনিয়ন একটি দ্বীপে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়ে মানুষজন আশে পাশের বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসায় আশ্রয় নিচ্ছেন। ঘর-বাড়ি, ফসলি মাঠ, শৌচাগার পানির গভীরে ডুবে আছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কারো মুখেই ঈদের কোনো ছাপ নেই। অন্ন-বস্ত্রের জন্যে তাদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে।

ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নৌকায় করে ‘সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন ‘এক বেলার আহার’ নিয়ে এসেছে। বন্যায় প্লাবিত প্রতিটি ঘরে ঘরে নৌকায় করে পৌছে দিয়েছেন ‘এক বেলার আহার’। সাথে ছিলো ঔষধ সামগ্রী ও খাবার স্যালাইন। প্রায় ২৫০ পরিবারের মধ্যে পৌছে দেয়া হয়েছে এই খাবার, ঔষধ ও স্যালাইন। মুসলিম পরিবারের মধ্যে গরুর গোসত ও হিন্দু পরিবারের মধ্যে মুরগীর গোসত’র তরকারি দেয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশের র‍্যাপিড টিমের নাজমুল হোসেন, ইকরাম হোসেন, হাসিনুর রহমান অমি, শেখ আমিরুন্নেছা আলো, হাফিজুর রহমান, শাওন মল্লিক, সজীব সিংহ, রাইয়ান হুসাইন রাহি।

‘এক বেলার আহার’ পেয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের মুখে হাসি ফুটেছে। এ যেন ঈদের খুশি বইছে! কেউ দোয়া করছেন আবার কেউ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সেচ্ছাসেবীদেরকে।

এ বিষয়ে সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কে বি খান বিজয় বলেন, আমাদের সংগঠনটা মূলত সাইবার অপরাধ দমনের। তার পাশাপাশি এটি একটি সামাজিক সংগঠন। আমরা ঈদ উদযাপন ভালোভাবে করতে পারলেও বানবাসীরা ঈদ উদযাপন করতে পারছে না। তাই আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। আমাদের র‍্যাপিড টিমের নিজস্ব অর্থায়নে বন্যায় কবলিত আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদের জন্য ‘এক বেলার আহার’ নিয়ে হাজির হয়েছি।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ