নিজেরাই মালামাল সরিয়ে লুটপাটের মামলা দেয়ার পায়তারা
নিজেরাই মালামাল সরিয়ে লুটপাটের মামলা দেয়ার পায়তারা, সিদ্ধান্ত হয় ‘জুম মিটিংয়ে’ মিছরাফ খান হত্যার নেপথ্যে-
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মিছরাফ খান হত্যার আগেরদিন সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ওইদিন রাতেই হত্যাকারীদের দেশিয় ও প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনরা ‘জুম মিটিং’ করে পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়াও হত্যাকারীরা নিজেরাই মালামাল সরিয়ে লুটপাটের মামলা দেয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিছরাফের হত্যাকারীরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে বিভিন্ন মালামাল গরু-ছাগল রাতের আধারে সরিয়ে নেয়ার সময় স্থানীয় লোকজন আটক করেছে। পরে রাজনগর থানায় মুছলেকা দিয়ে তাদেরকে ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ইউপি সদস্য নূরুল আমিন খান।
স্থাণীয় সূত্র ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুনাটিকি গ্রামের সৈয়দ গুষ্টির লোকজনের কাছ থেকে খান গুষ্টির লোজকন বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু জমি ক্রয় করেছিলেন। কিছু জমি রেজিস্ট্রি করা হলেও অনেক জমি এখনো দলিল করা হয়নি। ওই জমিগুলো নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে তাদের মাঝে বিবাদ চলে আসছে। খানগুষ্টির ক্রয় করা জমি দখলে নিতেচান সৈয়দগুষ্টির লোকজন। এনিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিগত অক্টোবর মাসে এনিয়ে সালিশ বৈঠক হলে মিমাংসা হওয়ার পর্যায়ে চলে আসে। এজন্য ১০ জনের একটি বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ড গত ৫ ডিসেম্বর পরবর্তী বৈঠকের তারিখ ধার্য করে। বৈঠকের আগেরদিন সৈয়দগুষ্টির আত্মীয় সৈয়দ মিয়াজান আলীর ছেলে সৈয়দ আজাদ আলী আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলে সালিশ বৈঠক হয়নি। সৈয়দ আজাদ আলী এবং সৈয়দ বিয়েছ আলীর ইন্দনে ওই দিন রাতে তাদের দেশিয় ও প্রবাসী আত্মীয়-স্বজন নিয়ে জুম মিটিং করে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার খানগুষ্টির ক্রয়কৃত জমির ডোবায় সৈয়দ জুয়েল আলীর নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামীরা মাছ ধরতে যান। মাছধরার খবর পেয়ে মামলার বাদী- নূরুল আমিন খানের চাচাতো বড় ভাই মিছরাফ খানসহ অন্যন্যরা বাধা দেন। এসময় তাদের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সৈয়দ আজাদ আলী এবং সৈয়দ বিয়েছ আলীর নির্দেশে সৈয়দ জুয়েল আলীর মা ছুলফি এগিয়ে দিলে সে মিছরাফ খানকে ঘাই মারে। এক আঘাতেই তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মামলার বাদী নূরুল আমীন খান বলেন, সৈয়দগুষ্টির লোকজন তাদের মালামাল ও গরু-ছাগল সরিয়ে নিয়ে এবং ঘরবাড়ি সরিয়ে আমাদের ওপর মামলা করার পায়তারা করছে। এনিয়ে তারা জুম মিটিংও করেছে। মিটিংয়ের পরেই কাজী, সৈয়দ লুৎফুর রহমান আমাদের হুমকি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আসামীদের মালামাল রক্ষায় আমরা নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি। কিন্তু তারা আমাদের ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন পায়তারা করছে।
এব্যাপারে আসামী পক্ষের কাজী সৈয়দ লুৎফুর রহমান বলেন, আমি হত্যার বিপক্ষে রয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শহরে বাসায় থাকি মাঝে মধ্যে এলাকায় যাই। আমি এর সাথে কখনই জড়িত নই।
এশিয়াবিডি২৪/১১/১২/২৪