দোয়ারাবাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

সংঘর্ষ

দোয়ারাবাজারে দু’গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক । সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষেটি ঘটে।ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ঘিলাছড়াও নরনিংপুর গ্রামবাসীর মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে প্রায় অঅর্ধশতাধিক আহত হয়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল নরসিংপুর গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র আবুল হাসনাত ও ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত কলমদর আলীর পুত্র মোটরসাইকেল চালক কুতুব উদ্দিনের মধ্যে ক্যাপ (টুপি) ও চশমা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে হাসনাত, ও জামালসহ কয়েকজন আহত হন। ওইদিন রাত ৭টার দিকে সৃষ্ট ঘটনা নিস্পত্তির লক্ষ্যে সালিশপক্ষ দিন তারিখ নির্ধারণের জন্য বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষ হতে না হতেই রাত ৮টার দিকে উভয় গ্রামের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষে বাধে এতে ঘিলাছড়া গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র মোটরসাইকেল চালক আজির উদ্দিন, একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র ভ্যানচালক রমজান আলী, মৃত মসদ আলীর পুত্র আলমগীর, মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আছাব আলী, সালিশ পক্ষে সিরাজপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র মনোয়ার আলী মনরসহ ১০/১২ জন আহত হয়।

ঐ সংঘর্ষের জের ধরে দুই গ্রামবাসী মাইকিং করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে পাথর, ইটপাটকেল ও দেশিয় অস্ত্রসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত গিয়াস হোসেন ও খাইরগাঁও গ্রামের পথচারি কালা মিয়াসহ অন্তত ৪০জন। গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এব্যাপারে কথা বললে দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি ফোর্স বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।তিনি আরও বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এশিয়াবিডি/কামরান/ইসমাইল

আরও সংবাদ