বৃটেনে ন্যাশনাল কারি উইক শুরু হচ্ছে ৭ অক্টোবর
ব্রিটেনে আগামী ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর সপ্তাহব্যাপী পালিত হবে একুশতম ন্যাশনাল কারি উইক। ন্যাশনাল কারি উইক এ বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় আয় বাড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) এবং কিংফিশার যৌথভাবে কাজ করছে।
এ উপলক্ষে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার পূর্ব লন্ডনের লা মেডিসন রেস্টুরেন্টে বিসিএ এবং কিংফিশার যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএ’র প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন টিপু।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) ব্রিটেনে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলোতে ‘লোকাল ডিনার্স’দের সাথে আরও বেশি করে সংযোগ স্থাপনের জন্য কিংফিশারের সহযোগিতায় ন্যাশনাল কারি উইক এ অংশগ্রহণের জন্য সকল রেস্টুুরেন্ট ব্যাবসায়ীর প্রতি আহবান জানিয়েছে। কারি লাভার্সদের আকৃষ্ট করতে এই নিদিষ্ট সময়ে কাস্টমারদের জন্য ২৫ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়ার সুযোগটি সকলের কাজে লাগানোর অনুরোধ করা হয়।
স্থানীয় কারী লাভার্সদের ‘লোকাল ডিনার্স’ শিরোনামের এই সুযোগটি নিতে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটের (ষষষ.ভর্টধমভটফডলররহষণণপ.ডম.লপ)র্ ম নমধভণ্ড এ গিয়ে করটঢণ ্রণর্ডধমভম্ব ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে সার্চ অপশনে গিয়ে রেস্টুরেন্টের পোস্ট কোড দিয়ে কাস্টমাররা প্রমোশনাল ভাউচারটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
বিসিএ বিশ্বাস করে দু’পক্ষের আন্তরিক অংশগ্রহণে অর্থাৎ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এবং লোকাল কারি লাভার্সরা সমানভাবে উপকৃত হবেন। ‘উইন-উইন ফর অল’ শিরোনামে বিসিএ ন্যাশনাল কারি উইক এ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রাণিতের কাজটি সক্রিয়ভাবে করছে।
আগামী ২৭ অক্টোবর রোববার লন্ডনের ওয়েসমিনিস্টার ব্রিজ এর অভিজাত পার্ক প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিসিএ’র এওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। ১৪তম বিসিএ এওয়ার্ডের শিরোনাম হলো বিসিএঃ হোম অব গ্রেট ব্রিটিশ কারি। ন্যাশনাল কারি উইক এ বিসিএ ব্রিটেনের কারী ইন্ড্রাষ্টির গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানকে সফলভাবে মূলধারায় প্রচার করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশী কারি শিল্পের বর্তমান সমস্যা এবং সম্ভাবনাগুলোকে তুলে ধরতে চায়।
২১তম ন্যাশনাল কারি ইউক এ ব্রিটেনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করলে যে সব সুবিধা পাবেন তা হলো- এক. রেস্টুরেন্টগুলো ব্রিটেনের জাতীয় কারি ম্যাপ এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে নিজেদের কারি ডিশ গুলোকে উপস্থাপনের সুযোগ নেওয়া এবং ন্যাশনাল কারি উইক চলাকালে কাস্টমারদের ভাউচার ডাউনলোডের মাধ্যমে ২৫ পার্সেন্ট ছাড় নেবার সুযোগ করে ল্যোকাল কারি লাভার্সদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন। দুই. রেস্টুরেন্টগুলোর প্রচার ও প্রসারের জন্য ন্যাশনাল কারি উইক এ অফিসিয়াল লোগোসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ডাউনলোড এবং ব্যবহারের সুযোগ। তিন. ব্রিটেনের মর্যাদাকর ন্যাশনাল কারি উইকে একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হয়ে নিজ ব্যবসার উন্নতি এবং সুনাম অর্জনসহ কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিসিএর প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম, সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী, চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ওলি খান, কিংফিশার এর ন্যাশনাল চ্যানেল কন্রো লোর বেন পারমার। প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন টিপু। বিসিএ সভাপতি এমএ মুনিম বলেন, ব্রিটেনে কারি ইন্ড্রাষ্টির বৃহৎ সংগঠন বিসিএ ব্রিটেনের বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের ন্যাশনাল কারি উইককে সামনে রেখে ব্যবসাবান্ধব যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সকলের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি। এটা নিঃসন্দেহে কারি ব্যবসায়ী এবং কাস্টমারদের জন্যও সাশ্রয়ী এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী বলেন, বিসিএ কারি উইককে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সাথে কারি লার্ভাসদের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ২৫ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট অফারকে সামরে রেখে লোকাল কাস্টমারদের কাছে নিজেদের বৈচিত্রময় খাবার সম্পর্কে অবহিত করার সুযোগটিকে শতভাগ কার্যকরে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল বলেন, কারি ইন্ড্রাষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ ন্যাশনাল কারি উইক। বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট গুলো দিন দিন নতুন নতুন খাবার এবং সেবার মান উন্নয়ন করছে। স্থানীয় কাস্টমারদের কাছে ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে ‘লোকাল ডিনার্স’ উদ্যোগটি হতে পারে অনেক কার্যকরী। যা দু’পক্ষের জন্য অত্যন্ত পজিটিভ বার্তা বহন করছে।