এনআরসি থেকে প্রতীক হাজেলাকে সরানোর নির্দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সমন্বয়কারী অফিসার প্রতীক হাজেলাকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে শুরু করে নানা জাতীয় দল সংগঠনগুলি আক্রমণ শানিয়েছে হাজেলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছেন এনআরসির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে জল্পনা উসকে দিয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চ হাজেলার অপসারণের নির্দেশ দেয়।
হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে স্থানান্তরিত করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে সরকারের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল হাজেলাকে অপসারণের কারণ ব্যাখ্যা চান প্রধান বিচারপতির কাছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, কারণ তো রয়েছেই। কারণ ছাড়া নির্দেশ হয় কি? অবশ্য সেই নির্দেশে কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
এনিয়ে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের পারদ চড়েছে অনেকটাই। যাদের দাবি মেনে এনআরসি-র প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র সায় দিয়েছে, সেই অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নই (আসু) খুশি নয় এই তালিকায়। এনিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে ক্ষমতাসীন রাজ্য বিজেপির অন্দরেই। অনেকেই অভিযোগ করছেন, কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ আগস্ট নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হতে দেখা যায়, বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। এদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু বাঙালি। বাদ পড়েছে ভূমিপুত্র অসমীয়াদের নামও। তারপরই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় হাজেলাকে। এক ধাক্কায় অসমের মনুষের কাছে বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে যান এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। এদিকে, প্রতীক হাজেলার অপসারণে ভবিষ্যতের চিন্তায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বৈধ ভারতীয়রা।