যুবদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১০
জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে নগরীর মণ্ডলপাড়া ও চাষাঢ়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সাথে এ ঘটনা ঘটে।
যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মণ্ডলপাড়া এলাকায় মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শাখাওয়াৎ হোসেন খানের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর যুবদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি বঙ্গবন্ধু সড়কের ডিআইট এলাকায় এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে র্যালি চাষাঢ়ার দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় যুবদলের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একই সময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে নগরীর চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর যুবদলের আরেকটি র্যালি বের করতে চাইলে পুলিশ সেখানেও বাধা দেয় দিয়ে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এসময় নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে পুলিশের ব্যারিকেডের ভেতর মহানগর যুবদলের নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, পুলিশ আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করার অধিকার হরণ করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, পুলিশ আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের যুবদলের প্রতষ্ঠিা বার্ষিকী পালন করতে বাধা দিয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আমরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই।