ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দেওয়া আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।  আগামী ১২ ডিসেম্বর চেয়ে দেওয়া তার প্রস্তাব প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই দিনেই নির্বাচন আয়োজন করতে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এখন এমন একটি বিল আনবেন যেটি পাস হতে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট।

 

 

দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। সোমবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

 

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে পার্লামেন্টে প্রস্তাব তোলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পক্ষে ২৯৯টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে পড়ে ৭০টি। রক্ষণশীল দলের সব আইন প্রণেতা প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও বিরোধী দল লেবার পার্টির বিপুলসংখ্যক আইনপ্রণেতা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে দেশটির ফিক্সড-টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয় জনসনের প্রস্তাব।

 

প্রস্তাব বাতিল হওয়ার পর আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, পার্লামেন্ট ‘অকার্যকর’ হয়ে পড়েছে ।  এটি আর দেশকে আর জিম্মি রাখতে পারে না। আগাম নির্বাচন আয়োজনে উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি। আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে বিকল্প পথ নিয়ে ভাববেন তিনি।

 

বিবিসি জানিয়েছে, আগাম নির্বাচন আয়োজনে নতুন যে বিল প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করতে যাচ্ছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেই তা অনুমোদিত হবে। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও এসএনপি দল প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। দল দুটি আগামী ৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের পক্ষে।

আরও সংবাদ