যোগদানের ৪ দিনের মাথায় টাকাসহ আটক সাবরেজিস্ট্রার
গত রোববার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন সুব্রত কুমার সিংহ। আর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ টাকার অভিযোগ এনে তাঁকে হাতেনাতে আটক করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের দাবি, অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম তাঁকে (সুব্রত) টাকা হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে ধরা হয়। তাঁদের কাছ থেকে অবৈধ ১ লাখ ৪ হাজার ৪০০ টাকা পাওয়া গেছে।
সুব্রত কুমার সিংহের বাড়ি যশোর জেলায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে দুদকের একটি দল এ অভিযান চালায়। তবে অবৈধ টাকার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কোনো কথা বলেননি সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার।
দুদক সূত্র জানায়, গোপন তথ্য ছিল, বিভিন্ন গ্রাহক বা দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় সাব রেজিস্ট্রার তাঁর কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীদের মাধ্যমে এ টাকা নিয়ে থাকেন। বিষয়টি কমিশনকে জানানোর পর অভিযান চালানোর অনুমতি দেয়। আজ দুপুরে সাব রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহকে তার কার্যালয়ের খাস কামরায় টাকা হস্তান্তর করছিলেন অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। পরে তাঁদের দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানে ডেপুটি নেজারাত এবিএম আরিফুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সদর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর সদর সাবরেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ খুন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে সাব রেজিস্ট্রার পদটি খালি ছিল। এক মাস আগে সুব্রত কুমার সিংহ যোগদানের অনুমিত পান। গত রোববার বিকেল চারটায় তিনি যোগদান করেন। এর আগে সপ্তাহে এই কার্যালয়ে গড়ে তিন দিন জমি রেজিস্ট্রির কাজ হতো। এই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে প্রতিদিনই জমি রেজিস্ট্রি কাজ হচ্ছিল। অবৈধ টাকার বিষয়ে কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কিছুই বলতে পারেননি।
দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, কমিশনের সঙ্গে কথা বলে আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।