শীতকে স্বাগত জানিয়ে ফুল গাছ রোপন করে অরন্যের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত ঋতুকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশেবাদী সংগঠন  অরণ্যের ফুলের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী শুরু হয়েছে। উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ টি প্রজাতির ফুল গাছ এবং ২টি প্রজাতির ফল গাছ রোপন করা হয়। ফুলের প্রজাতিগুলি হচ্ছে রক্ত জবা, বেলি, মরিচা জবা, বকুল, সাদা জবা, রঙ্গন, কদম, কৃষ্ণচূড়া, মাধবীলতা, কাঠগোলাপ, রাজগোলাপ, হাসনাহেনা এবং চেরী। ফলের প্রজাতিগুলো পেয়ারা এবং কদবেল।

 

বৃক্ষ রোপনের সময় উপস্থিত ছিলেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত, আইন ও বিচার বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামান নিউটন এবং ইব্রাহিম আলী, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মাজহারুল হোসেন তোকদার, ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক মেহেদী উল্লাহ, লোকপ্রশাসন এবং পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গাজী আরাফাত উজ জামান মার্কনী।

 

পাশপাশি সংগঠনের সদস্যদের জন্মদিনও বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পালন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি জেনাস ভৌমিক  বলেন, শীতকাল কে ফুল গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে স্বাগতম জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

 

সাধারণ সম্পাদক আসিফ শাহরিয়ার অর্ণব বলেন,অরণ্য এ ধরনের কাজ অব্যহত রাখবে।”

দপ্তর সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমার জন্মদিনে অরণ্যর পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে পরিবেশের প্রতি আমার মমত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিল, এজন্য অরণ্য কে ধন্যবাদ।

 

উল্লেখ্য যে, গাছগুলো রোপন করা হয়েছে ক্যাম্পাসের লাইব্রেরী, চক্রবাক ক্যাফেটেরিয়া এবং চারুদ্বীপের পুকুরের সামনে।

অরণ্যের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত বলেন, “গাছ লাগানো হচ্ছে প্রাথমিক কাজ।গাছের যত্ন করে বড় করাটাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। অরণ্য যেন গাছের পরিচর্যাতেও যত্নশীল হয় সেটা আমার পরামর্শ “।

আইন ও বিচার বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রায়হান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে গাছের পরিমাণ তুলনামূলক কম। গাছের এই অভাব পূরন করার জন্য অরণ্যের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি ভালো উদ্যোগ। পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠনও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী করলে এ ক্যাম্পাসে সবুজের অভাব পূরন সম্ভব হবে।”

আরও সংবাদ