ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওসমানীনগরে র্যালি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেটের ওসমানীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য র্যালি। জালালিয়া আল কুরআন গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এই র্যালি বের করা হয়।
সকাল থেকেই উপজেলার গোয়ালাবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মুখে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোয়ালাবাজার হতে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর, কদমতলা ও তাজপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আহমদিয়া দাখিল মাদরাসা মোল্লাপাড়ায় এসে র্যালিটি শেষ হয়।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসরাহ ও ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া ওসমানীনগর উপজেলার যৌথ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর র্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জালালিয়া আল কুরআন গবেষণা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, উপদেষ্টা সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আবদাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছাদিকুর রহমান শিবলী, হাজী আজির উদ্দিন, তালামীযের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনুর রহমান লেখন, মাওলানা আসগর আলী, মাওলানা সৈয়দ সুলতান আহমদ, প্রধান শিক্ষক শামছুল ইসলাম, র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মতিন গজনভী, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুর রব, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মুহিবুর রহমান, কন্ঠশিল্পী সুলতান আহমদ, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইউনুছ আলী, হাজী সোনাহর আলী, হাফিজ তৌরিছ আলী, হাফিজ আজাদ আলী, উপজেলা তালামীযের সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, জাকির আহমদ, মাওলানা আব্দুল বাছিত, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, হাফিজ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
র্যালি শেষে র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মতিন গজনভী ও সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার এক ক্রান্তিগ্নে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন। তখন মানুষে মানুষে ছিল হানাহানি। চারদিকে ছিল অসত্য আর অন্যায়ের জয়জয়কার। দুঃশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত ছিল মানব সমাজ। বিশেষ করে নারীরা ছিল সকল দিক থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত। মানুষ হিসেবে তাদের কোনো মূল্য ছিল না। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। মজলুমের চিৎকারে ভারী হয়ে গিয়েছিল দুনিয়ার আকাশ বাতাস। তখন মানুষকে প্রকৃত মানবিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন।
তারা বলেন, নবীর জীবনদর্শনে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের সর্বোত্তম ও পরিপূর্ণ আদর্শ নিহিত রয়েছে। সে আদর্শ অনুসরণে সমাজে শান্তি, স¤প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রিয় নবীর প্রতি যেমন সর্বোচ্চ ভালোবাসা লালন করতে হবে তেমনি তাঁর সুমহান আদর্শ অনুসরণ, চর্চা ও প্রচার-প্রসারে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।