খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ কাল
পুরোনো ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল রোববার রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর ২টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ কর্মসূচির কথা জানান।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশের কথা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অথচ দেশনেত্রীর জামিন কিংবা সুচিকিৎসার ব্যাপারে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের নিষ্ঠুরতা যেন থামছেই না। সরকারের আচরণে জনগণের মনে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে সরকারপ্রধান দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন কি না।’
খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তা সহ্য না করতে পারায় শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন বলেও এসময় অভিযোগ করেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন। শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জীর সাক্ষাৎ কেবলমাত্র শাড়ি আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য দূরে থাক, কোনো হিস্যাই পাওয়া যায়নি। ফেনী নদীর পানি বিনিময় ছাড়াই উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল উষর মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, “সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপির মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন-আইন আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছেন। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করে রেখে ভোটের আগের রাতের ভোট প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
রিজভীর অভিযোগ সুশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদ হোসেনদের মতো চুনোপুটিদের নাম জানা গেছে, কিন্তু সরকার রাঘব-বোয়ালদের লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।