চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্ক নিয়ে চীনে অবস্থানরত ১৭১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, চেষ্টা থাকলেও এই মুহূর্তে চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আনা যাচ্ছে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, এখন যারা চীন থেকে ফিরতে চাচ্ছেন, আমরা তাদের জন্য অনেক খরচ করেছি। এরপরও তাদের আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিমানের কোনো পাইলট ও ক্রু কেউ বাইরে যেতে পারছে না, এমনকি বিমান কোথাও যেতে পারছে না। সিঙ্গাপুরে পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বিপাকে পড়েছে বিমান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র চাইনিজ চাটার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। একটা সময় চীন সরকার রাজিও হয়। পরে অবশ্য তারা না করে দিয়েছে। এ কারণে আমরা সেখানে কোনো ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোনো পাইলট ও ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।
বাংলাদেশিরা খাবার সংকটে আছে, এ বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, তাদের খাবার চীনারা এনশিওর করছে। ২৩টি স্থানে বাংলাদেশিরা থাকে, সব জায়গায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সময় মতো তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা খাবারের সংকটে রয়েছে বলে যে কথা শোনা যাচ্ছে- তা আসলে সঠিক নয়। আমাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছে। এছাড়া ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ-খবর নিচ্ছে তাদের।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ শহর উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে একটি বিশেষ ফ্লাইট পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। পরদিন ৩১২ জনকে নিয়ে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছায়। এদের মধ্যে আটজনের জ্বর থাকায় তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। বাকিদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় আশকোনায় হাজি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ