জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন : নসরুল হামিদ

চলতি বছরের জুনের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলক্ষেতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের সবচেয়ে বড় সফলতা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। আমি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের চ্যালেঞ্জ কিন্তু এখনো রয়ে গেছে, জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করতে হবে এবং অফগ্রিড এলাকায় অন্তত ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের জনগণের এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এটাই হবে সবচেয়ে বড় উপহার।

তিনি আরও বলেন, একদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, অন্যদিকে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমিয়ে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও সিএনজি খাত নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অথচ সংকটকালে এ দুটো খাতকে ব্যাপক উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে তিনি বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিএফসি) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস উৎপাদন (উত্তোলন) করা হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে উক্ত মজুদ (১০ দশমিক ৬৩ টিসিএফ) গ্যাস দিয়ে আর ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

এরমধ্যে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ এমএমসিএফ। তবে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এমএমসিএফ। গ্যাস সংকটের কথা বলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে, দেশীয় গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে। আবার গ্যাসের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য নিশ্চিত করতে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও সিএনজি খাতে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে সরকার।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ