৩ জনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে চাঞ্চল্যকর ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডল হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ মো. আনোয়ারুল হক এই রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ী (মির্জাপুর) গ্রামের মৃত সাহেব উদ্দীনের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দিন, একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের দুই ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. মামুনুর রশিদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- একই উপজেলার খয়েরবাড়ী এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মেহেরুন বেগমকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ী মৌজার ১ দশমিক ৩৩ শতকের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় আসামিরা ওই পুকুরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। এ সময় ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডল আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আসামিরা রামদা, কুড়াল, হাসুয়া ও ছোড়া দিয়ে ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডলকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত ওয়াকিল উদ্দীনের স্ত্রী মোছা. বিলকিছ বানু বিরামপুর থানায় আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. ময়েজ উদ্দীন মারা গেলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন- অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ