করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) প্রতিদিন শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। সোমবার (২ মার্চ) সকাল পর্যন্ত চীনে নতুন করে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৫৩ জনে পৌঁছেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনে নতুন করে চার শতাধিক লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
এ দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্তত ৬৭টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে আছে আরও অনেক দেশ। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
অপরদিকে করোনা আতঙ্কে বিশ্বের ১০টিরও অধিক রাষ্ট্রের লাখ লাখ শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি চীনজুড়ে স্কুল বন্ধ রাখায় দেশটির প্রায় দুই কোটি শিশু গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।
এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচির শরীরেও পাওয়া গেছে মহামারি ভাইরাসের উপস্থিতি। তেহরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা মিডল ইস্ট আইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ