তানভীরের রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা নিয়ে সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতের শুনানির এখতিয়ার নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন তোলায় এ রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেন, ‘যেহেতু এই মামলার শুনানির এখতিয়ার নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন উপস্থাপন করেছে, তাই আমরা এই মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিচ্ছি।’

আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় আদালতে দাখিল করা সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে র‌্যাবের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওপর কোন শুনানি হয়নি।

তবে আবেদনকারীর আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেছেন, আমাদের মতে এই আদালতের শুনানির এখতিয়ার আছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এই আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এখন এই বেঞ্চে যেন শুনানি হয় সে জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবরে আবেদন করবো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সকালে তিনি তদন্তের সর্বশেষ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এরপর এই মামলা শুনানিতে আদালতের এখতিয়ার আছে কিনা সে মর্মে প্রশ্ন তোলেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।

গত ২ মার্চ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলো। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি শার্টে ওই দুই পুরুষের ডিএনএ’র প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করেছে র‌্যাব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মামলায় তানভিরের অবস্থা রহস্যজনক। এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি (বিচারিক আদালতে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে) দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি। আমেরিকা পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে অপরিচিত দুই ব্যাক্তির ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সবশেষ অবস্থা এবং অপরাধের সঙ্গে তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর জামিনে থাকা মো. তানভীর রহমান তার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে রুলসহ আদেশ দেন।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ