পিরোজপুর জেলা জজকে প্রত্যাহার কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে আসার পর বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম ও ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ সময় আদালতে উপস্থিত থাকা সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফের মতামত নেন হাইকোর্ট।
আদালতের এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম ও ইউনুছ আলী আকন্দ।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানের আদালত দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার এবং পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাছরিনকে ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এদিন বিকালে আউয়ালের পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন পুনরায় আউয়াল-লায়লা দম্পতির জামিন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব পাওয়ার পর নাহিদ নাছরিনের দ্বিতীয় আদালত থেকে আসামিরা জামিন পান।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

