তামিম বলেছিলেন ২-৩ বছর, লিটন করলেন ২ দিনের মাথায়

তামিমকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রেকর্ডের বরপুত্র বললে ভুল হবে না। দীর্ঘ ২০ মাস পর মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। আর সেই সেঞ্চুরিকে নিছক একটি সংখ্যায় আটকে রাখেননি তামিম। অসংখ্য নতুন রেকর্ড গড়ে নিজেকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়।

অনেক দিন ধরেই সেঞ্চুরি খরায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। এর মাঝে ২৩টি ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাননি বাঁহাতি ওপেনার। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে বড় ইনিংসে ফিরন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ১৫৪ রানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। মঙ্গলবার ১১ বছর পর সেই ইনিংস টপকে যান তামিম নিজেই।

এদিন ১৫৮ রানের ইনিংসের পর তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তার এই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন লিটন দাস, মুশফিকুর রহীম কিংবা শান্ত। তবে দুই-তিন বছর নয়। মাত্র দুই দিনের মাথায় তামিমকে টাপকে গেছেন লিটন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এখন লিটনের।

শুক্রবার (৬ মার্চ) সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল ও লিটন গড়েন ওপেনিং জুটির ইতিহাস। দুই জনের এই জুটিতে আসে ২৯২ রান। যা বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এদিন তামিম-লিটন দুই জনেই সেঞ্চুরির দেখা পান।

মজার কথা হলো, তামিমের সামনে তামিমকেই দর্শক বানিয়ে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন লিটন। মুম্বার বলে আউট হওয়ার পূর্বে ১৪৩ বল খেলে ১৬টি চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৬ রান করেন তিনি। রেকর্ড ইনিংস খেলে লিটন আউট হলেও ১০৯ বলে ৭ চার ৬ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ