বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ১২০ রানের টার্গেট ১৫.৪ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তাতে ৯ উইকেটের বড় জয় পায়। এই জয়ে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয়। তাতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পায় তিন ফরম্যাটেই সিরিজ জয়ের সাফল্য। প্রথমে টেস্ট, এরপর ওয়ানডে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ হল শেভরনরা।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের লিটন কুমার দাস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪৫ বল খেলে ৮ চারে ৬০* রান করেন। তার সঙ্গে ১৬ বল খেলে ২ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। নাঈম শেখ ৩৪ বলে ৩৩ রান করে ক্রিস্টোফার এমপফুর বলে আউট হন।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ১১৯ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। বল হাতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ২৫ রান দিয়ে ২টি ও আল-আমিন হোসেন ২২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডান টেলরকে আউট করা যায়নি। তিনি ৪৮ বল খেলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রান করেন। ক্রেইগ আরভিন করেন ২৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

জিম্বাবুয়ে : ১১৯/৭ (২০ ওভারে)।

বাংলাদেশ : ১২০/১ (১৫.৫ ওভারে)।

ফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ : বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী

লিটনের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি

প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন কুমার দাস। সিকান্দার রাজার করা দ্বাদশ ওভারে দুই বলে দুই বান্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। যেখানে ৭টি চারের মার ছিল। আগের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৫৯ রান।

ফিরলেন নাঈম

লিটন দাসের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন নাঈম শেখ। ৩৪ বলে ৫ চারে ৩৩ রান করে যান তিনি। এরপর এমপফুর বলে ডিপ মিডউইকেটে তিনাশে কামুনহুকামওয়ের হাতে ধরা পড়েন।

১০ ওভারে ৭৩

১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে লিটন করেছেন ৪০ রান। নাঈম করেছেন ২৯ রান।

বাংলাদেশের দারুণ সূচনা

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৭.৩৩ রান রেটে তুলেছে ৪৪ রান। যেখানে লিটন দাস করেছেন ২৩ রান। আর নাঈম শেখ ২০ রান।

বাংলাদেশকে মামুলি টার্গেট দিল জিম্বাবুয়ে

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ১১৯ রান সংগ্রহ করেছে। জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২০ রান। প্রথম ম্যাচে ২০০ করা বাংলাদেশ এই টার্গেট কত অল্প ওভার খরচ করে তুলতে পারে দেখার বিষয়।

বল হাতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ২৫ রান দিয়ে ২টি ও আল-আমিন হোসেন ২২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডান টেলরকে আউট করা যায়নি। তিনি ৪৮ বল খেলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রান করেন। ক্রেইগ আরভিন করেন ২৯ রান।

মুস্তাফিজের জোড়া আঘাত

১৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনেতেন্দা মুতুমবোডজি ও শেষ বলে ওয়েসলি মাধভেরেকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুতুমবোডজি ৩ ও মাধভেরে ০ রানে আউট হন।

আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকার মুতুম্বামি

ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রেইগ আরভিনের ৫৭ রানের ‍জুটির পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। ৯৬ রানের মাথায় হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। এ সময় আল-আমিন হোসেনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন রিচমন্ড মুতুম্বামি। সেটি তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। ১ রান করে ফিরে যান মুতুম্বামি। জিম্বাবুয়ে ৯৬/৫ (১৬.১ ওভারে)।

রাজাকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন

সিকান্দার রাজাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে শর্ট ফাইন লেগে আল-আমিনের হাতে ধরা পড়েন। ১০ বল খেলে ১২ রান করে যান তিনি। জিম্বাবুয়ে ৯৬/৪ (১৫.৫ ওভারে)।

মাহেদী হাসান ফেরালেন শন উইলিয়ামসকে

দলীয় ৭৬ রানের মাথায় ‍তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মাহেদী হাসানের বলে এবার স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। তিনি ৮ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে যান। অবশ্য মাহেদী আরো একটি উইকেট পেতে পারতেন এই ওভারে। কিন্তু সৌম্য সরকার সিকান্দার রাজার ক্যাচ হাতছাড়া করেন। জিম্বাবুয়ে- ৭৬/৩ (১৩.২ ওভারে)।

আফিফ ভাঙলেন টেলর-আরভিনের বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি

বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রেইগ আরভিনের জুটি। কিন্তু তাদের বেশিদূর যেতে দেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই আরভিনকে ফেরান তিনি। তাকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন আরভিন। ৩৩ বলে ২৯ রান করে যান তিনি। টেলরের সঙ্গে তিনি ৫৭ রানের জুটি গড়েন। জিম্বাবুয়ে- ৬৯/২ (১১.১ ওভারে)।

টেলর-আরভিনে প্রতিবোধ

১২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আল-আমিন হোসেন ফেরান তিনাশে কামুনহুকামওয়েকে। এরপর জুটি বাধেন ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রেইগ আরভিন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা দুজন ইতিমধ্যে ৫০ রান তুলে ফেলেছেন। ৭.৩ ওভারে ৬.৬৬ রান রেটে তারা তুলেছেন ৫০ রান। যেখানে টেলর করেছেন ২২ ও আরভিন করেছেন ২৮।

আল-আমিনের প্রথম আঘাত

শুরুতেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত করেছেন শফিউল ইসলামের বদলি খেলোয়াড় আল-আমিন হোসেন। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনাশে কামুনহুকামওয়ে। স্কুপ শট খেলতে গিয়ে তিনি মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন। ২ চারে ১০ রান করে যান তিনি। জিম্বাবুয়ে ১২/১ (২.৩ ওভারে)।

বাংলাদেশের একাদশ

মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মাহেদী হাসান, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন ও হাসান মাহমুদ।

জিম্বাবুয়ের একাদশ

তিনাশে কামুনহুকামওয়ে, ব্রেন্ডান টেলর, ক্রেইগ আরভিন, ওয়েসলি মাধভেরে, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, তিনোতেন্দা মুতুমবোডজি, কার্ল মুম্বা, ক্রিস এমপফু ও চার্লটন টিসুমা।

পরিবর্তন

বাংলাদেশ দলে আজ তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তামিম ইকবালকে শেষ ম্যাচে বিশ্রামে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তার জায়গায় আজ খেলছেন নাঈম শেখ। অভিষেক হচ্ছে পেসার হাসান মাহমুদের। শফিউলের জায়গায় এসেছেন আল-আমিন হোসেন।

টস

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি অবশ্য ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টস হেরে ব্যাট করবে শেভরনরা।

প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকার, লিটন কুমার ও তামিম ইকবালের ব্যাটে ভর করে ২০০ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ