করোনা থেকে বাঁচতে যেসব পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। সচেতন থাকবেন। যে যে কাজগুলো করলে তার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় সে কাজ করবেন না। যেখানে সেখানে কফ, থুতু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দিলে রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন। নিজে ভালো থাকবেন, অপরকে ভালো রাখবেন। কোথাও গিয়ে হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি না করারও পরামর্শ দেন তিনি।

মুজিববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সারাদেশে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পবিত্র ইসলাম ধর্মেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিজেরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি তাহলে আমরা রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব।

কিছু বিষয় থেকে বিরত থাকতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ এমনই, খুব অসচেতন। তারা যেখানে সেখানে থুতু ফেলছে। টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলছে। বাইরে থেকে ঘরে এসে হাত না ধুয়ে ছেলেমেয়েকে স্পর্শ করছে, বিভিন্ন কিছু করছে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করব, এবং অপরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখব। ছাত্রছাত্রীরা তাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখবে। নিজের কাজ নিজে করতে কোনো লজ্জা নেই। বিদেশে কাজের কোনো লোক নেই। তারা অনেক উন্নত দেশ। তারপরও তারা নিজেরাই নিজেদের কাজ করে। তাদের মান-সম্মান যায় না।

প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, যানবাহন রাস্তাঘাটে বা কোনো জমায়েতে গিয়ে কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন না। হাতে হাত মেলাবেন না। কোলাকুলি করবেন না। এগুলো থেকে আপাতত দূরে থাকুন। নিজেরা সচেতন থাকুন এবং অপরকে সচেতন রাখুন। যানবাহনে ময়লা রাখার জন্য ঝুড়ি বা থলে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।

পৃথিবীর ১১৪টি দেশে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা বাংলাদেশ এ ভাইরাস প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। মানুষকে সচেতন করে তুলছি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, কারও যদি করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তা না লুকিয়ে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো মেনে চলবেন। বিদেশ থেকে কেউ আসলে তার সঙ্গে মিশবেন না। তাকে অন্তত কিছুদিন আলাদা থাকতে দেবেন।

অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ