রাজনগরে মসজিদে আপত্তি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গড়গাঁও এলাকায় একটি মসজিদে আপত্তি, মুসিল্লিদের গালাগাল ও সভায় বাধা দেয়ার অভিযোগে ওই মসজিদের মুসল্লিরা বিক্ষোভ করেছেন। রবিবার সকাল ১১টার সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির লোকজন সাংবাদিকদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনগর থানা ও মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর গণস্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
লিখিত অভিযোগ ও কমিটির লোকজন জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেইন গড়গাঁও গ্রামের ২০০৪ সালে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মসজিদের পাশের রাস্থার উত্তর পাশের বাড়ির মালিক জয়নাল মিয়া ও তার স্ত্রী নামাজের সময় উচ্চস্বরে টেলিভিশন, ঢোল-করতাল ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নামাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে আসছিল। মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেক অনুরুধ করেও তাকে থামাতে পারেন নি। এনিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেন নি। উপরন্তু সে মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের বিভিন্ন সময় গালাগাল, দেশিয় অস্ত্রদিয়ে মুসল্লিদের দৌড়ানি দিয়ে আসছে। গত ১৮ মার্চ জোহরের সময় মসজিদের ইমাম মাও. তাফাজ্জুল হক অজু করে মসজিদে প্রবেশের সময় ইমামের ওপর লাঠি নিয়ে দৌড়ে এসে আক্রমনের চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত লোকজন তাকে আটকে দিলে তার স্ত্রী ও মেয়েরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে জয়নালকে নিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনার পরদিন আবারো জোহরের নামাজের দিকে মসজিদের পাশে মুসল্লিদের গালাগাল ও উচ্চ স্বরে গান বাজাতে থাকে জয়নাল মিয়া। এসময় মুসল্লি ফয়ছল মিয়া এসব করা থেকে বিরত থাকার জন্য বললে জয়নাল ও তার স্ত্রী সন্তানসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আরো কয়েকজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। এতে আহত হন- ফয়ছল মিয়া (৪৫), সুজিনা বেগম (৩৫), রাসনা বেগমসহ (৪৫) ছয়-সাতজন। এঘটনায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও জয়নাল মিয়া সেচ্ছায় নিজেদের ক্ষতি করে মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হয়রানিমূলক মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন ব্যক্তি তার নিজের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসীকে হয়রানি করছে। তার কারণে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
রবিবার সকালে সাংবাদিক ও উপস্থিত লোকজনের সামনে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী সাবেক মেম্বার কায়েছ মিয়া, আনা মিয়া, ইউনুছ হোসেন, অভিযুক্তের চাচাতো ভাই সুনিল মিয়া, ফয়ছল আহমদ প্রমুখ।
এশিয়াবিডি/ফরহাদ/কামরান