সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলামের ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের শোক
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলাম আর নেই।
শনিবার আমেরিকার সময় সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে সেখানের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন),। মৃত কালে তার বয়স ছিল ৭৮ বছর।তিনি স্ত্রী, ১ছেলে,৪ মেয়ে আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলাম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু, কাতার বিএনপির সাধারন সম্পাদক শরিফুল হক সাজু, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান প্রমুখ।
এক শোকবার্তায় কাতার বিএনপি সাধারন সম্পাদক শরিফুল হক সাজু বলেন, “মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলাম একজন ধর্মপ্রাণ ও পরোপকারী সমাজসেবক হিসেবে নিজ এলাকার মানুষের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন।
জেলা জেলা বিএনপির সদস্য ও বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন ” আমি এবং আমার দল মনে করে সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর মাধ্যমে এ অঞ্চলে রাজনীতির আকাশ থেকে একটি নক্ষত্রের চিরবিদায় ঘটলো,যার অভাব কিছুতেই পুরন হবার নয়।
আমার দল মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন,মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
আমি মনে করি তাঁর মৃত্যুতে বড়লেখাবাসী হারিয়েছে তাঁদের সুখ দুঃখের চিরন্তন সাথী একজন বর্ষিয়ান অভিভাবক; যার অভাব কিছুতেই পুরন হবার নয়। শিক্ষক হিসেবে তিনি যেমন একজন ভালো শিক্ষক ছিলেন ঠিক তেমনি রাজনীতিবিদ হিসেবে একজন ভালো মানের রাজনীতিবিদ ছিলেন।
মরহুম সিরাজুল ইসলাম মানুষকে ভালোবাসার যে নজির সৃষ্টি করে গেছেন তা অঞ্চলের মানুষ কখনো ভুলবে না। অঢেল টাকার মালিক না হয়েও রাজনীতি করা যায় এবং মানুষের সেবা করা যায় তা আমরা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারি। আমি একজন শিক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এদিকে মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে তাৎক্ষিণকভাবে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন লন্ডন ইউকে-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুনেজর আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সিরাজুল ইসলামের মতোন জনঘিনষ্ট রাজনীতিবিদ বড়লেখার মাটিতে আর জন্ম নেবেন না। তিনি আক্ষিরক অর্থেই একজন হাকালুকি পারের মাটি ও মানুষের জননেতা ছিলেন। তিন তাঁর সন্তানদের আর্থিক সম্পদ না রেখে গেলেও ব্যক্তি সিরাজুল ইসলাম বড়লেখার রাজনীতির একটি প্রতিষ্ঠান। ইতিহাস একদিন তাঁকে যথার্থ মূল্যায়ন করবে। বিনয়ী, বিচক্ষণ, বাগ্মী এ নেতাকে বড়লেখার মানুষ বহুকাল ভুলবে না।
উল্লেখ্য, মরহুম সিরাজুল ইসলাম বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পরবর্তীতে মৌলভীবাজার ১ আসন থেকে ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন।বৃহত্তর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হয়ে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন।পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দিয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হোন।অনেকদিন থেকে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে স্বপরিবারে আমেরিকায় বসবাস করে আসছিলেন।
এশিয়াবিডি/বেলাল/সাইফ