করোনা: অনলাইনে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা
কোনো ছাড় নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। লকডাউন হোক আর না হোক ফিটনেস নিয়ে কোনো আপোষ নেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট সূচি তৈরি করে, টার্গেট দিয়েছে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। এবার পরীক্ষার পালা।
করোনার প্রাদুর্ভাবে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। তাই ফিটনেস পরীক্ষা হবে অনলাইনে। পিসিবি বলছে, আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল জাতীয় দল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের দুইশর বেশি খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা হবে। খেলোয়াড়দের এরই মধ্যে ভিডিও লিঙ্ক পাঠিয়েছে পিসিবি। সেই লিঙ্ক ওপেন করে পরিবারের কারো সাহায্য নিয়ে নিজের ফিটনেস পরীক্ষা দেবেন খেলোয়াড়রা।
করোনার ধাক্কায় গত ১৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানে সব ধরনের খেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ২৩ ও ২৪ মার্চ একটি ফিটনেস টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দমবন্ধ পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষা বাতিল করে বোর্ড। তাই নতুন করে এ মাসে হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট।
মূলত পিসিবি দেখতে চাই, লকডাউনের সময়টায় কোন ক্রিকেটার নিজের ফিটনেস নিয়ে কতটা কাজ করেছেন। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক ও ট্রেনার ইয়াসির মালিক এক বার্তায় ক্রিকেটারদের বলেছেন,‘ফিটনেস ধরে রাখতে তোমাদেরকে শৃঙ্খল হতে হবে এবং প্রচুর পরিশ্রম করত হবে। হয়তো এ মুহূর্তে অনেক সীমাবদ্ধতা এবং সম্পদের অভাব রয়েছে কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জন্যই বিষয়টি সমান। এজন্য নিজের শতভাগ উজার করে দিতে হবে। মানসিক এবং শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।’
পাকিস্তানের ছয়টি বিভাগীয় দল রয়েছে। প্রত্যেকটিতে রয়েছে ৩২ জন করে খেলোয়াড়। ১৬ জন প্রথম স্কোয়াডের। ১৬ জন দ্বিতীয় স্কোয়াডের। ২০১৯ সালের আগস্টে নতুন করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করে পিসিবি। এছাড়া জাতীয় দলে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন আরও ১৯ খেলোয়াড়। প্রত্যেকের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল।
ফিটনেস পরীক্ষায় যেসব করতে হবে ক্রিকেটারদের
১) এক মিনিটে ৬০টি পুশআপ।
২) এক মিনিটে ৫০টি সিটআপ।
৩) একবারের প্রচেষ্টায় ১০টি পূর্ণাঙ্গ চিনআপ।
৪) এক মিনিটে ৩০টি বারপিস।
৫) দুই দিক থেকে ২৫টি করে বুলগেরিয়ান স্পিল্ট স্কোয়াটস।
৬) ২.৫ মিটার স্ট্যান্ডিং বোর্ড জাম্প।
৭) দুই মিনিটের রিভার্স প্ল্যাঙ্ক।
৮) ইয়ো-ইয়ো টেস্ট, লেভেল ১৮।
ফিটনেস পরীক্ষার আগে এবং পরে তাদের ওজন পরীক্ষা করবে পিসিবি। এ পরীক্ষার পর খেলোয়াড়দের আবার নতুন করে সূচি এবং টার্গেট দেবে পিসিবি।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা বছর দুয়েক আগেও তাদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু মিকি আর্থার কোচ হওয়ার পর মাঠের ক্রিকেটের থেকে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে মনোযোগী হন। তাতে সুফল পেয়েছেন খেলোয়াড়রাই। সেই ধারা এখনও ধরে রেখেছেন মিসবাহ-উল-হক।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ